স্মার্ট ফোন তথা Smartphone

স্মার্ট ফোন তথা Smartphone ছাড়া দু দণ্ড থাকা যায়না আজকাল। স্মার্ট ফোন শুধু কথা বলার জন্য নয়, ফোনের মধ্যেই রয়েছে সমস্ত সমস্যার সমাধান। বিভিন্ন কাজে প্রয়োজন পরে এই ফোনের। কিন্ত কাজ করতে করতে বা কোনো দরকারি কিছু দেখতে দেখতে চার্জ শেষ হয়ে গেলে আবার চার্জ দিতে হয়। সেক্ষেত্রে অনেকটা সময় চলে যায়। এছাড়া ধরুন আপনি অনেক্ষণের জন্য বাইরে থাকবেন কিভাবে আপনার ফোনের চার্জ বেশিক্ষণ ধরে রাখবেন?

10 Tips for Android Smartphone Battery Charge

১) স্মার্ট ফোনের তথা Smartphone ‘পাওয়ার সেভিং মোড’ চালু করে দিন। যে সমস্ত কারণে ফোনের চার্জ বেশি খায় এই পাওয়ার সেভিং মোড সেগুলো থেকে রক্ষা করে।

২) ফোনের চার্জ বাঁচানোর দ্বিতীয় উপায় ফোনের ‘ব্রাইটনেস’ কমিয়ে রাখা। স্মার্টফোনের স্ক্রিন বেশ বড়, উজ্জ্বল হয়। যা প্রবল পরিমাণে ব্যাটারি শেষ করে। সবসময় ফোনের ঔজ্জ্বল্য থাকার বোধ হয় প্রয়োজনও পড়ে না।

ব্যাটারি লাইফ দীর্ঘ করার জন্য কমিয়ে রাখতে পারেন ‘ব্রাইটনেস’। একইসঙ্গে ‘অটো ব্রাইটনেস’ বন্ধ করে রাখতে পারেন। কারণ এই অপশনের ফলে অনেক সময় প্রয়োজন না থাকলেও (Smartphone) ব্রাইটনেস বাড়িয়ে দেয়।

৩) আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য ‘অলওয়েজ অন ডিসপ্লে’ নতুন ফিচার হলেও, অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এটা বহুদিনই রয়েছে। এই ফিচার চালু থাকলে, ফোনের বেসিক তথ্য, যেমন তারিখ, সময় ইত্যাদি সবসময়ই দেখা যায়, ফোন লক হয়ে গেলেও। এই ফিচার তৈরির কারণই হল যত কম ব্যাটারি খরচ করা যায়, তবে কতক্ষণ ফোনে এই ফিচার অন রাখতে চান, সেই সময় নির্ধারণও আপনি করতে পারেন।

৪) যত বেশিক্ষণ ফোনের স্ক্রিন অন হয়ে থাকবে, তত বেশি ব্যাটারি খরচ হবে। এই প্রবণতা আটকাতে সেটিংসে গিয়ে ফোনের ‘স্ক্রিন টাইম আউট’ সময় কমিয়ে আনতে পারেন। অর্থাৎ সাধারণত স্ক্রিন অফ হতে যত সময় লাগে, তার থেকে সময়টা কমিয়ে দিতে পারেন (Smartphone)।

৫) ফোনে অবাঞ্ছিত সেটিংস অন করে রাখবেন না। যেমন লোকেশন, ব্লুটুথ। যখন রাস্তায় আছেন, ওয়াইফাই ব্যবহার করছেন না তখন সেই অপশন (Smartphone) অফ রাখুন। উল্টোটাও মেনে চলুন। গুগল লোকেশন সর্বত্র অন করে না রেখে, ‘অ্যাপ পারমিশনস’-এ গিয়ে অন করে রাখতে পারেন যে অ্যাপগুলো লোকেশন ছাড়া খোলে না তাদের জন্য।

৬) যখন একটি অ্যাপ ঘাঁটতে ঘাঁটতে নতুন অ্যাপে ঢোকেন, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে আগের অ্যাপটা চলতে থাকে, যার বেশিরভাগ সময়েই প্রয়োজন থাকে না। অবশ্যই এর ফলে ব্যাটারি নষ্ট হয়। সবসময় ‘অ্যাপ হিস্ট্রি’ ক্লিয়ার করে দেওয়াই শ্রেয়।

এছাড়া সেটিংসে গিয়ে ‘পুট আনইউজড অ্যাপস টু স্লিপ’ অপশনও অন করতে পারেন। না ব্যবহার হলে কোনও অ্যাপ ‘ঘুমিয়ে’ থাকবে। সেক্ষেত্রে (Smartphone) আপডেটও নিজে থেকে হবে না, এটা মাথায় রাখতে হবে।

৭) প্রয়োজন না থাকলে ফোনের ‘ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট’কে বন্ধ করে রাখতে পারেন। নয়তো যখন ব্যবহার করা হচ্ছে না তখনও এই অ্যাপ ব্যাটারি ব্যবহার (Smartphone)করে।

ভারতীয় বাজারের সেরা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি! কোন মডেলটি বেস্ট? গাড়ি কেনার আগে জেনে নিন।

৮) আধুনিক স্মার্টফোনগুলি একেকটা ছোট সাইজের সুপারকম্পিউটার। কিন্তু যদি শুধু নেট সার্ফ করেন তাহলে প্রসেসর সারাক্ষণ ধরে চালু রাখার তো বিশেষ প্রয়োজন নেই। ‘এনহ্যান্সড প্রসেসিং’ ফিচারের সাহায্যে ফোনে ‘ফাস্টার ডেটা প্রসেসিং’ রাখবেন নাকি ‘লঙ্গার ব্যাটারি লাইফ’ রাখবেন সেই অপশন বেছে নিতে (Smartphone) পারেন।

Ceiling Fan - সিলিং ফ্যান

৯)যদি এই সমস্ত পন্থা অবলম্বন করতে গিয়ে হিমশিম খাবেন বলে মনে হয়, তাহলে কিছু ‘অটোমেটিক ফাংশন’ সেট করে রাখতে পারেন। ফোনের ‘ব্যাটারি অ্যান্ড ডিভাইস কেয়ার’ থেকে ‘ব্যাটারি’ অপশনে গিয়ে ‘মোর ব্যাটারি সেটিংস’-এ যান এবং ‘অ্যাডাপ্টিভ ব্যাটারি’ অন করে দিন। এর থেকে আপনার ফোন নিজেই আপনার চার্জিং অভ্যাস বুঝে পরেরবার চার্জ দেওয়া পর্যন্ত (Smartphone) ব্যাটারি বাঁচাবে।

পহেলা মে থেকে ATM Card এর খরচ বাড়ছে। গ্রাহকদের বিভিন্ন চার্জ বেড়ে গেল। জেনে নিন

১০) ফোনের ব্যাটারি (Smartphone) বাঁচানোর সর্বশেষ এবং সহজ উপায় হল একটি পাওয়ার ব্যাঙ্ক বা কেস সঙ্গে রাখা। এটি ফোন ছাড়াও অন্যান্য জিনিসেও চার্জ দিতে কাজে লাগবে। তবে মনে রাখবেন পাওয়ার ব্যাঙ্কে যেন পর্যাপ্ত চার্জ দেওয়া থাকে। উপরিউক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখুন আপনার ফোনের চার্জ অনেকক্ষণ থাকছে। এতে আপনার ফোনটির বয়সও দীর্ঘায়িত হবে।