Second Hand Car – ভারতীয় বাজারের সেরা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি! কোন মডেলটি বেস্ট? গাড়ি কেনার আগে জেনে নিন।

গাড়ি কেনার শখ প্রত্যেকটি মানুষেরই আছে আর তার জন্যই বাজার হু হু করে বিক্রি হচ্ছে এই Second Hand Car. তবে প্রত্যেকটি মানুষের ইচ্ছে অনুযায়ী আর্থিক ক্ষমতা ততটা থাকে না তা বলে কি সবগুলো পূরণ করবে না এমনটা কি হয়? নতুন গাড়ি কেনার জন্য অনেক খরচ পড়ে যায় তাই এখন অনেকেই সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কেনার কথা ভাবছেন। সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনলে খরচটা কম হয় এবং গাড়িও কেনার শখটা পূরণ হয়। তবে সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি বা Second Hand Car কিনার আগে ভালো করে জানতে হয় কোন কোন মডেল গুলো বাজারে বেশি চলছে।

Best Model of Used Second Hand Car in India

এছাড়া গাড়ি বা Second Hand Car কেনার আগে সেই গাড়িটি কিরকম রয়েছে সেটিও দেখে নেওয়া দরকার। এই বছর যে সমস্ত সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি আপনি চোখ বন্ধ করে কিনতে পারবেন তার তালিকা রইল এখানে। দেখে নিন ভারতের বাজারে কোন কোন মডেলগুলির সব থেকে বেশি চাহিদা রয়েছে।

বর্তমানে বেশিরভাগ লোকে পুরনো গাড়ি বা Second Hand Car কেনার প্রতি যোগ বাড়ছে আর তার জন্যই বাজারে পুরনো গাড়ির চাহিদা বেড়েছে। ভারতে ব্যবহৃত যে সমস্ত গাড়ি এখন খুব বেশি চলছে তাদের তালিকা রইলো নিচে। কমপ্যাক্ট হ্যাচব্যাক থেকে প্রশস্ত সেডান, রাগড এসইউভি থেকে স্টাইলিশ ক্রসওভারের মতন তালিকায় রয়েছে একাধিক গাড়ি।

  • মারুতি সুজুকি সেলেরিও
  • মারুতি ওয়াগনার আর
  • মারুতি অল্টো কে১০
  • মারুতি ডিজ্যায়ার
  • মারুতি সুইফট
  • হুন্ডাই আই২০
  • মারুতি এস-প্রেসো

মারুতি সুজুকি সেলেরিও

প্রথমেই জানা যাক মারুতি সুজুকি সেলেরিও সম্পর্কে। এটি হল কমপ্যাক্ট হ্যাচব্যাক গাড়ি। পেট্রোল এবং সিএনজি-তে চলে। ১ লিটার পেট্রোলে চলে ২৬ কিমি পথ। আর ১ কেজি সিএনজিতে পাড়ি দিতে পারে ৩৫ কিমি। এটির শোরুম দাম ৫.৩৫ লাখ টাকা। তবে সেকেন্ড হ্যান্ড Second Hand Car বাজারে এই গাড়ি মিলবে ৪.১৬ লাখ টাকায়।

মারুতি ওয়াগনার আর

মারুতি ওয়াগনার আর-ও একটি কমপ্যাক্ট হ্যাচব্যাক গাড়ি। পেট্রোল এবং সিএনজি, দুরকম জ্বালানিতেই চলবে। এটি মাইলেজ দিচ্ছে ২৫.১৯ কিমি। ১ কেজি সিএনজিতে চলবে ৩৪.০৫ কিমি পথ। এক্স শোরুম দাম ৫.৫২ লাখ টাকা। সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি বা Second Hand Car বাজারে মিলছে ৪ লাখ টাকায়।

মারুতি অল্টো কে১০

মারুতি অল্টো কে১০ হ্যাচব্যাক গাড়ি। পেট্রোল এবং সিএনজি-তে চলে। ১ লিটার পেট্রোলে (ম্যানুয়াল) ২৪.৪ কিমি এবং ২৪.৯ কিমি (অটোমেটিক) পথ পাড়ি দিতে পারে। ১ কেজি সিএনজিতে চলে ৩১.৫ কিমি। এক্স শোরুম দাম ৩.৯৯ লাখ টাকা। তবে সেকেন্ড হ্যান্ড বা Second Hand Car বাজারে ৩ লাখ টাকায় মিলছে।

হাইস্পিডে ফ্যান চালালে ইলেকট্রিক বিল কী বেশি আসে? কীভাবে চালানো উচিত? বিদ্যুতের খরচ বাঁচাতে

মারুতি ডিজ্যায়ার

মারুতি ডিজ্যায়ার সেডান গাড়ি। পেট্রোল এবং সিএনজি-তে চলে। ১ লিটার পেট্রোলে পাড়ি দিতে পারে ২৪ কিমি পথ। ১ কেজি সিএনজিতে চলবে ৩১ কিমি। এক্স শোরুম দাম ৯.৪৫ লাখ টাকা। সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি বা Second Hand Car বাজারে এই গাড়ি মিলছে অর্ধেকের কম দামে, ৩.৫৯ লাখ টাকায়।

মারুতি সুইফট

মারুতি সুইফট হ্যাচব্যাক প্রকৃতির গাড়ি। পেট্রোল এবং সিএনজিতে চলে। ১ লিটার পেট্রোলে ২৩ কিমি পথ পাড়ি দিতে পারে। ১ কেজি সিএনজিতে অতিক্রম করে ৩১ কিমি পথ। এক্স শোরুম দাম ৬.৭ লাখ টাকা। সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি বা Second Hand Car বাজারে মিলবে ৬.২ লাখ টাকায়।

হুন্ডাই আই২০

হুন্ডাই আই২০ হ্যাচব্যাক গাড়ি। পেট্রোল এবং ডিজেলে চলে। ১ লিটার পেট্রোলে পাড়ি দেয় ২০ কিমি এবং ১ লিটার ডিজেলে ২১ কিমি পথ। এক্স শোরুম দাম ৭.৭ থেকে ১১.৬২ লাখ টাকা। সেকেন্ড হ্যান্ড বাজারে মিলছে ৪.৭৮ লাখ টাকায়।

PM Kisan - পি এম কিষাণ

মারুতি এস-প্রেসো

মারুতি এস-প্রেসো হ্যাচব্যাক গাড়ি। পেট্রোল এবং সিএনজি-তে চলে। ১ লিটার পেট্রোলে (ম্যানুয়াল) ২৪.১ কিমি পথ পাড়ি দেয়। ১ কেজি সিএনজিতে যায় ৩২.৭৩ কিমি। এক্স শোরুম দাম ৪.২৫ লাখ টাকা। সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি বা Second Hand Car বাজারে এই গাড়ি ৪ লাখ টাকায় মিলছে। গাড়ির ব্যাপারে যারা শৌখিন তারা নতুন গাড়ি কিনতে পছন্দ করেন। রোজের ব্যবহারের জন্য মধ্যবিত্তের উচিত নিজের বাজেট থেকে না বেরিয়ে বরং সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনে নেওয়া।

কিন্তু ঠিক কী কী কারণে পুরনো গাড়ি কেনা লাভজনক?

  • গাড়ি কেনার পর সেটা সাজাতে বেশ অনেকটাই টাকাপয়সা খরচ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে পুরনো গাড়ি সাজানোই পাবেন। শুধু যেটুকু প্রয়োজন, সেটা নিজের মনমতো করে নিলেই কাজ শেষ।
  • সবচেয়ে বড় সুবিধা হল দামের। গাড়ি কেনার প্রথম তিন বছরের মধ্যেই দাম প্রায় ৬০ শতাংশ কমে যায়।
  • চেনা-পরিচিত কারও থেকে গাড়ি কিনলে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তবে পুরনো গাড়ি Second Hand Car কিন্তু অনেক দেখেশুনে এবং বুঝে কিনতে হয়।

টাকার দরকারে আবেদন করলেই পাবেন লাখ টাকা। সহজে মুদ্রা লোন কিভাবে পাবেন?

  • নতুন গাড়ির ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন, রোড ট্যাক্স, আরটিও চার্জ— একগুচ্ছ অতিরিক্ত খরচা হয়। আর সেকেন্ড হ্যান্ড বা পুরনো গাড়ি কিনলে, এইসব খরচ করতে হয়না। শুধু গাড়ির দামটুকু দিলেই হবে।
  • আপনি যে গাড়ি কিনবেন তার বয়স ৫ বছরের কম হলে ওয়ারেন্টি পাওয়ার সুবিধাও থাকছে। অনেক সংস্থা তো আবার এক্সটেনডেড হিসেবে ৭ বছরের ওয়ারেন্টিও দিয়ে থাকে। অতএব পুরনো গাড়ি শুনতে মন্দ লাগলেও লাভ কিন্তু অনেক বেশি।
  • পুরনো গাড়ি অর্থাৎ সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনলে অনেক কম দামে ভাল গাড়ি পাওয়ার সুযোগ থাকে। এর পাশাপাশি কিস্তির পরিমাণ নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলেও ঠিক করে নেওয়া যায়। তাই লোকসানের তুলনায় লাভই বেশি।

তাই আপনি যদি গাড়ি কেনার কথা ভেবে থাকেন অবশ্যই একবার পুরোনো গাড়ির শোরুম গুলোতে ঘুরে দেখতে পারেন উপরের তালিকার লেখা গাড়িগুলো রয়েছে কিনা! যদি থাকে কোনো কিছু না ভেবে কিন নিন। অনেক টাকা সাশ্রয় হবে এবং তার সাথে মনের মতন গাড়িও পাওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button