Summer Vacation – আবারও এগিয়ে আসলো গরমের ছুটি! নতুন করে তারিখ ঘোষণা। কবে থেকে ছুটি পড়ছে?
এপ্রিল মাসে সূর্যের প্রখর তাপে চারিদিক যেন জ্বলছে। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই আর সে জন্যই Summer Vacation বা স্কুল গুলির গরমের ছুটি আরও এগিয়ে আনা হল। দিনের বেলা খুব প্রয়োজন না পড়লে মানুষজন বাইরে বেরোচ্ছে না। বেশিরভাগ কাজ রাতেই করার চেষ্টা করছে মানুষজন। এদিকে স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের খুবই সমস্যা হচ্ছে স্কুল যাতায়াতে। আর তারমধ্যে একই জায়গায় কয়েক ঘণ্টা স্কুল ড্রেস পড়ে ক্লাস করতে গিয়েও অনেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
Summer Vacation will Started on 22nd April
অভিভাবকরা ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠানোর আগে চিন্তা করছেন। সবাই চাইছে গরমের ছুটি বা Summer Vacation দিয়ে দেওয়া হোক। বাতাসে যেন লু বইছে। প্রত্যেকবার গরমের ছুটি মে মাস নাগাদ পরে। যদিও আগের বারে এমনই গরমের তীব্রতা থাকার জন্য গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছিল।
এবারেও ৬ মে থেকে ২ জুন অবধি গরমের ছুটি বা Summer Vacation ঘোষণা করা হয়েছিল। এছাড়া লোকসভা ভোট থাকার জন্য অঞ্চল বিশেষ স্কুল কলেজ ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এদিকে এই সপ্তাহে গরমের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাপমাত্রা পারদ ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত স্কুলে গরম পড়তেই কত দিনের ছুটি ঘোষণা করলো? কবে থেকে ছুটি? জেনে নিন।
এই অবস্থায় স্কুল যাতায়াত ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। স্কুল শিক্ষক সংগঠনগুলো সরকারের কাছে আবেদন জানায় আরও এগিয়ে আনা হয় যাতে গরমের ছুটি। সেই বিষয়ে মঙ্গলবার বৈঠক বসে। আবেদন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আগামী ২২ এপ্রিল থেকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি বা Summer Vacation ঘোষণা করা হবে।
অর্থাৎ ১২ দিন এগিয়ে আনা হলো গরমের ছুটি বা Summer Vacation. এদিকে লোকসভা ভোটের জন্য ছুটি দেওয়ার কথা ছিল তাই দুটি একসঙ্গে হয়ে যাচ্ছে। ছাত্র ছাত্রীদের বাড়িতে বসে পড়াশুনা করার জন্য বেশি করে হোমওয়ার্ক ও প্রজেক্ট দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাতে বাড়িতে পড়ার অভ্যাস থাকে।
পহেলা বৈশাখের ছুটি মার গেলেও, নতুন ছুটি ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গে। সরকারি কর্মী ও শিক্ষকেরা খুশি।
যদিও এখনো ছুটির দিন অফিসিয়ালি ঘোষনা হয়নি। মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। নবান্নে মঙ্গলবার ব্রাত্য বসু সহ মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীরা বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপাতত এই সিদ্ধান্তে অভিভাবক ও শিক্ষক সংগঠনগুলো খুবই খুশি। গরমের মধ্যে স্কুল যাওয়া থেকে বাড়িতে বসে পড়াশুনা করা অনেকটাই নিশ্চিন্তের।