Teacher Transfer – সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর! বদলি নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল স্কুল শিক্ষা দপ্তর।
স্কুল শিক্ষকদের (Teacher Transfer) দের চাকরিরত স্কুল অনেক সময় বাড়ি থেকে বেশ অনেকটাই দূরে পরে। এক্ষেত্রে অনেক অসুবিধা হলেও কোনো কিছু করার থাকেনা। বদলির আবেদনও গ্রাহ্য হয়না এক্ষেত্রে। তাই কোনো শিক্ষক শিক্ষিকা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তার পক্ষে অনেক কিমি যাতায়াত করা তার পক্ষে দুর্বোধ্য হয়ে যায়। কিন্ত এবার স্কুল শিক্ষকদের জন্য সুখবর এটাই যে স্কুল শিক্ষা দপ্তর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মান্যতা দিলো শিক্ষা দপ্তর।
New Guidelines on WB School Teacher Transfer Rules
এবার থেকে কোনো গুরুতর শারীরিক সমস্যায় কোনো (Teacher Transfer) শিক্ষক শিক্ষিকা আবেদন করলে সেটা গ্রান্ট করতে হবে। এমনটাই ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি একজন শিক্ষিকার সাথে। জানা যাচ্ছে, হুগলির কামারপুকুর হাইস্কুলের বৈশাখী মুখোপাধ্যায় শিক্ষকতা করতেন।
তার বাড়ি থেকে স্কুল অনেকটাই দুরত্ব ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্ত্রী রোগজনিত কারণে শারীরিকভাবে অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তাই তিনি বদলির আবেদন করেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে। কিন্ত সেখান থেকে কোনো সদুত্তর মেলেনি বরং আবেদন বাতিল করে দেন শিক্ষা সংসদ।
এরপর তিনি কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শিক্ষিকার (Teacher Transfer) আবেদন সিঙ্গল বেঞ্চের তরফ থেকেও খারিজ করে দেওয়া হয়। এর কারণ হিসেবে যুক্তি দেখানো হয় উৎসশ্রী পোর্টাল বন্ধ থাকা।
এরপর ওই শিক্ষিকা ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন আর শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট তার সম্পূর্ণ কথা শুনে বিবেচনা করে তার পক্ষেই নির্দেশ ঘোষণা করে। বিচারপতির তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা ছিল। অবশেষে শিক্ষিকার পক্ষেই হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করলেন।
হাইকোর্টে তরফ থেকে জানানো হয় যে যদি কোন শিক্ষক বা শিক্ষিকা (Teacher Transfer) দীর্ঘদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে বদলির আবেদন জানায় এবং উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে পারে তাহলে তার বদলি হতেই পারে।
স্কুল চলাকালিন মোবাইল ঘাটা বন্ধ! শিক্ষকদের ছুটি ও ফোন ব্যাবহার নিয়ে নতুন নিয়ম
এই প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী জানায় শিক্ষিকা (Teacher Transfer) বৈশাখী মুখোপাধ্যায় হুগলির উত্তর পাড়া গার্লস হাই স্কুলে বদলির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্ত ওই স্কুলে কোনো শুন্য পদ না থাকার জন্য আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল।
অন্যদিকে শিক্ষিকার আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী জানায় ওই স্কুলে শূন্যপদ না থাকলে আশেপাশের স্কুলেও বদলি করা যেত। কারণ তার মক্কেল দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় ৬০ কিলোমিটার করে ১২০ কিলোমিটার যাতায়াত করতে হচ্ছে যেটা তার শরীরের পক্ষে খুবই কষ্টকর।
তাই এই আবেদন মকুব করার আর্জি জানান। সবদিক বিবেচনা করে হাইকোর্ট শিক্ষিকার (Teacher Transfer) দিকেই রায় দেন। এবং স্কুল শিক্ষা কমিশনকে আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষিকার আবেদন গ্রহণ করে বদলি করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের বেতনবৃদ্ধি ও প্রমোশন নিয়ে বিরাট সুখবর।
এই রায়ের পরেই সমস্ত স্কুল শিক্ষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। এমন অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন যারা অসুস্থ হয়েও অনেক কিমি যাতায়াত করছেন তাদের ক্ষেত্রে এই রায় অনেকটাই সমস্যার সমাধান করে দিলো বলাই যায়। উপযুক্ত প্রমাণ দেখিয়ে বদলির আবেদন করলে এবার থেকে সেই আবেদন মান্যতা পাবে বলে আশা করা যায়।