Dearness Allowance – দ্রুত ডিএ মামলা নিস্পত্তি করতে নির্দেশ দিলো সুপ্রীম কোর্ট। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ তথা মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) মেটানোর দাবি নিয়ে আজ থেকে তিন বছর আগে আন্দোলনে অবতীর্ণ হয়েছিলেন রাজ্যের সরকারি কর্মজীবীরা। তা নিয়ে একাধিক ঝামেলা ঝঞ্ঝাট এমনকি মামলাও চলেছে। তিন তিন বার জয় পেলেও রাজ্যের টালবাহানায় তার নিষ্পত্তি এখনো পর্যন্ত হয়নি। রাজ্যের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের উদ্যোগে অক্টোবর মাসের গতকাল এবং আজ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পরশু ও গতকাল রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য বেতন এবং বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানোর দাবিতে আরেক দফা কর্ম বিরতি পালন করছেন হাজার হাজার সরকারি কর্মচারীরা। যার মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকা রাও। কিন্তু রাজ্য সরকারি কর্মীরা আর কতদিন এভাবে নিজেদের প্রাপ্য বুঝে নেওয়ার দাবিতে সংগ্রাম করবেন? এর তো একটা শেষ হওয়া দরকার তাই না? তাই এবার মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আন্দোলনের নিষ্পত্তি করতে নড়েচড়ে বসলো সর্বোচ্চ আদালত।
Dearness Allowance নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্ট মারফত রায় দেওয়া হল মহার্ঘ ভাতা আন্দোলনে শামিল কর্মজীবীদের একাংশের উদ্দেশ্যে। কি বলা হলো দেখে নিন আজকের প্রতিবেদনে।
মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) এবং বেতন বৃদ্ধি (Salary Hike) এই দুয়ের দাবিতে যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন তাদেরকে রাজ্য সরকার নাকি অনেক দূর দূরান্তের জায়গায় বদলি করে দিচ্ছিল, এমনটা অভিযোগ ওঠে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হন হাজার হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অন্যান্য রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এই নিয়ে মামলা দাখিল করা হয় সুপ্রিম কোর্টেও।
রাজ্যের শিক্ষক এবং কর্মী সংগঠনের সদস্যরা আদালতে অভিযোগ করেছিলেন ১৯৯৭ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশন আইনে ২০১৭ সালে নতুন ১০সি ধারাটি যোগ করা হয়েছিল। যে ধারা অনুযায়ী, ২০১৭ সালের আগে যে সব শিক্ষকরা চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাদের উপর বদলির শর্ত চাপাতে পারেনা রাজ্য সরকার। যাইহোক এই মামলাটি এতদিন ধরে বিচারাধীন ছিল সর্বোচ্চ আদালতে। তবে সম্প্রতি এই মামলার সম্পর্কে রায় ঘোষণা করে দিয়েছে আদালত। আর সেই রায় শুনে খুশি হয়েছেন সকল অভিযোগকারীরা।
শিক্ষক এবং সরকারি কর্মী সংগঠনের দাখিল করা অভিযোগ এবং তদন্ত মারফত প্রাপ্ত বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে ২০১৭ সালের পূর্বে যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছেন তাদেরকে দূর দূরান্তের জায়গাগুলিতে বদলির শর্ত দিতে পারেনা রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন, দুর্গাপুজোর সময় কেমন থাকবে আবহাওয়া? কোন দিন বৃষ্টি, কোন দিন রোদ্দুর?
হ্যাঁ প্রয়োজন হলে অবশ্যই কাছাকাছির কোন স্থান বা স্কুলে তাদেরকে বদলি করা যেতে পারে। কিন্তু দূরের স্থানের স্কুলগুলিতে তাদের বদলি করা যাবে না কোনভাবেই। কারণ এটি আইনবিরুদ্ধ এবং তার সঙ্গে যথেষ্ট অসুবিধাজনক সেই সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের পক্ষে। যদিও এই বদলি নাকি প্রতিহিংসা মুলক বদলীই হয়েছে, বলে অভিযোগ। কারন যেসমস্ত স্কুল থেকে বদলী হয়েছে, সমস্ত স্কুলেই তারা সারপ্লাস ছিলেন না, দাবী বদলী হওয়া কর্মীদের।
এদিকে শিক্ষকদের বদলি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে, তার স্বপক্ষে বক্তব্য পেশ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এবং নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও। রাজ্য সরকারের প্রতি তোপ দেগে শুভেন্দু মন্তব্য করেছেন, “যে সব শিক্ষকরা DA এর দাবিতে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, তাঁদেরকে ওই ধারা প্রয়োগ করে বদলি করা হচ্ছে। Dearness Allowance এর দাবিতে আন্দোলনকে শেষ করে দিতেই এই ধারা অনৈতিক ভাবে প্রয়োগ করছিল রাজ্য সরকার।”
DA মামলার ভবিষ্যৎ কি?
২০১৬ সাল থেকে প্রায় ৭ বছর ধরে চলছে মামলা। কোলকাতা হাইকোর্ট একাধিক বার মামলার রায় কর্মীদের পক্ষে দিলেও রাজ্য সরকার রিভিউ পিটিশন ও একাধিক যুক্তি দেখিয়ে মামলাকে বিলম্বিত করছে। এমনটাই অভিযোগ রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের। সেই কারনেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আর এই মঞ্চে ধীরে ধীরে ভীড় বাড়ছে বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতৃত্বের। আর এই পরিস্থিতিতে দ্রুত মামলার রায় ঘোষণা করে প্রকৃত ডিএ আদায় করাই একমাত্র লক্ষ্য কর্মীদের।
আরও পড়ুন, পোষ্ট অফিসের এই স্কিমে 500 জমা করে পাবেন 30 লক্ষ টাকা রিটার্ন।
এর আগেই আদালত থেকে জানানো হয়েছে, মামলা চিরন্তন কাল ধরে চলতে পারেনা। আর নভেম্বরের শুনানিতে সেই প্রতিফলন ই দেখা যাবে বলে আশা করছেন, DA মামলার আইনজীবী প্রবীর চ্যাটার্জী।
এদিকে পর পর দুদিন ধর্মঘট করায় আজ মানস ভূঁইয়া জানান, নিয়মিত মাইনে নিয়ে কাজ না করে ধর্মঘট করে জনগনের পরিষেবা না দেওয়া, জনগণকে হয়রানী করার সমান
আপডেট পেতে সুখবর বাংলা ফলো করুন।
Written by Nabadip Saha.