Education Policy on Teachers Transfer (শিক্ষানীতি ও শিক্ষক বদলী)

এবার থেকে বদলি নেওয়া আবশ্যক রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের, নইলে হতে পারে চাকরি বাতিল। Education Policy তথা রাজ্য শিক্ষানীতি আলুর আগেই পৃথক ইস্যু নিয়ে ঘোষণা জারি বিকাশ ভবন মারফত। শিক্ষকদের কি কারনে বদলি। কি জানাচ্ছে শিক্ষা দপ্তর। এবং এই প্রসঙ্গে একাধিক শিক্ষক সংগঠনের কি মতামত, জেনে নিন।

West Bengal Education Policy on Teachers Transfer

গত ৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের আগের দিন কলকাতায় করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডের কাছে শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের নেতৃত্বে ৮ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা West Bengal Education Policy সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে বিক্ষোভে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তাদের সেই বিভিন্ন দাবির মধ্যে এটিও দাবি করা হয়েছিল যে এখন থেকে প্রত্যেক শিক্ষককেই তার নিকটবর্তী স্থানে শিক্ষকতার চাকরি দিতে হবে।

যাইহোক তো এই সমস্ত দাবি গুলি নিয়ে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এর কাছে সেদিন। তিনি সেই বিক্ষুব্ধ জনতাকে আশ্বাস দেন যে নিজে উদ্যোগ নিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে তিনি উপরমহলে জানাবেন। যদিও এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত সরাসরি কোন সদুত্তর দেওয়া হয়নি সরকার কর্তৃপক্ষের তরফে। আর এর মাঝেই সম্প্রতি সরকার জারি করল এক নতুন বিজ্ঞপ্তি।

এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এখন থেকে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হল প্রত্যেক শিক্ষকের বদলি কে। সঙ্গে এটিও জানানো হলো যে এই বদলি না নিলে হয়তো বাতিল করা হতে পারে সেই শিক্ষকের চাকরি। ফলে এখন চরম সমস্যায় পড়তে চলেছেন রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকারা (West Bengal Education Policy on Teachers Transfer). কিন্তু সরকারের এই ঘোষণার পর কি প্রতিক্রিয়া হতে চলেছে (Education Policy) তাদের মধ্যে ?

উল্লেখ্য চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রাজ্যের ৬০৫ জন শিক্ষক শিক্ষিকা কে বদলির নির্দেশ দেয় বিকাশ ভবন। প্রধানত কলকাতা, হাওড়া এবং ব্যারাকপুর অঞ্চলের বিদ্যালয় পরিদর্শকের অধীনে থাকা বিদ্যালয় গুলির শিক্ষকদেরই এই বদলির নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। তাদেরকে বদলি দেওয়া হয় মুর্শিদাবাদ এবং নদীয়া জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয় গুলিতে। তবে এই বদলিতে অখুশি হন বেশিরভাগ শিক্ষক শিক্ষিকা।

আরও পড়ুন, এবারের প্রাইমারী টেট পরীক্ষায় কত পেলে পাশ, কত পেলে ইন্টারভিউ এর ডাক পাবেন, কত পেলে চাকরি?

তাই এ নিয়ে তারা মামলা করেন হাইকোর্টে এমনকি পরে সুপ্রিম কোর্টেও। সেই মামলার বিচার এখনো চলছে। তবে বেশ কিছু শিক্ষক শিক্ষিকা আবার সরাসরি বিকাশ ভবনে চিঠি দিয়েও নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন এবং আবেদন করেছিলেন তাদেরকে বদলি না করার। তাদের সেই আবেদনেই প্রত্যুত্তর দিল এবার বিকাশ ভবন (Education Policy).

সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হল কেবল পাঁচটি শর্ত পূরণ করলে তবেই বদলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হবে। না হলে সবাইকে নিতে হবে এই বদলি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে যে সকল শিক্ষক শিক্ষিকা বিকাশ ভবনে বদলির সিদ্ধান্ত খারিজ করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন তাদের বেশিরভাগই আবেদনে অসুস্থতার কারণ উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু তাতেও তাদের সেই আর্জি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল বিকাশ ভবন। সূত্রের খবর কলকাতা থেকেই নাকি ৩৯ জন শিক্ষককে দূরবর্তী স্থানে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। Education Policy.

যদিও শিক্ষকদের এই বদলির মামলা নিয়ে বিকাশ ভবনে শুনানি করেন কমিশনার।
এই নিয়ে শিক্ষকরা আশায় ছিলেন যে হয়তো এর পর বদলির সিদ্ধান্ত বদল করা হবে। কিন্তু তা সত্বেও বদলির সিদ্ধান্ত থেকে এক পাও পিছু হটতে রাজি নয় রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর।

আধার কার্ড জালিয়াতি (Aadhaar card fraud)

এ প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক সমিতির নেতা স্বপন মন্ডল বলেছেন, “সরকার কর্তৃপক্ষের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা উচিত ছিল। কারণ, এমন বহু শিক্ষক রয়েছেন, যাঁরা ক্যানসার আক্রান্ত, বুকে স্টেন্ট বসেছে। এমন শিক্ষিকাও রয়েছেন, বাড়িতে যাঁদের ছোট বাচ্চা রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কেন তার কোনও যুক্তি আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। তবে সরকার বদলির ক্ষেত্রে যে নীতি প্রণয়ন করতে চাইছে, শিক্ষক-শিক্ষিকারা সেই নীতির বিরুদ্ধে নয়। কাছাকাছি বদলি দিলে সব শিক্ষকই বদলি নিতে রাজি হবেন বলেও আমরা জানি।’

আরও পড়ুন, লটারি জেতার শুভ যোগ। এই নিয়মে লটারি কাটুন, কোটি টাকা জেতার সুযোগ নিন।

এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক তৃণমূল শিক্ষা সমিতির সভাপতি বিজন সরকার বলেছেন, “শিক্ষক শিক্ষিকারা তাদের বদলির সিদ্ধান্ত রদ করার জন্য যে আবেদন জানিয়েছিলেন তার উত্তরে বিকাশ ভবনে এক শুনানি করা হয়েছিল এবং সেই শুনানি মারফত কিছু শিক্ষক শিক্ষিকাকে বদলি হওয়া থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করব যে যারা ক্যান্সার অথবা অন্যান্য দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই যেন সরকার এই বদলে সিদ্ধান্ত বদল করে। এছাড়াও যাদের অন্যান্য কিছু সমস্যা রয়েছে তাদেরও যেন সরকার অত্যন্ত দূরবর্তী কোনো স্থানে বদলির সিদ্ধান্ত না নেয়। তাতেই সুবিধা হবে সেই সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের।”
Written by Nabadip Saha.