Post office rules on savings account বা 'পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্টস স্কিম'

পোস্ট অফিস বা ডাক বিভাগ হল ভারতীয় শাসন ব্যবস্থার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তবে কিছু Post Office Rules বা পোস্ট অফিস গ্রাহকদের সেভিংস একাউন্টের নিয়ম বদলানো হয়েছে। সেই ১৮৫২ সালে ডাক ব্যবস্থা ভারতে চালু হওয়ার পর থেকে ক্রমশই তা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে। শুধু জিনিস বা চিঠিপত্রই নয়, টাকা-পয়সা আদান প্রদান করার ক্ষেত্রেও ডাক বিভাগ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের মধ্যে অনেক মানুষই পোস্ট অফিসে তাদের সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলেন। যেহেতু ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় পোস্ট অফিসে সুদ অনেক বেশি হারে পাওয়া যায়।

New Post Office Rules

এখানে অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাও রয়েছে তাই স্বাভাবিকভাবেই মানুষ পোস্ট অফিসকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে এক্ষেত্রে। সেই কারণেই দেশবাসীর স্বার্থে এবার কেন্দ্রীয় সরকার মারফত পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্ট স্কিমে এমন কিছু বিরাট পরিবর্তন (Post Office Rules) আনা হয়েছে যেগুলি অনেক দিকে আরও সুবিধা জনক করে তুলবে এই ব্যবস্থাটিকে। গত ৩ জুলাই ২০২৩ তারিখে ভারতীয় অর্থ মন্ত্রক একটি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডাক বিভাগের সম্বন্ধে।

Post office savings Account

কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকেরই গেজেট পত্রিকায় প্রকাশ করা হয় এই বিজ্ঞপ্তিটি। এতে বলা হয়েছিল যে এবার থেকে পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্ট স্কিমে তিনটি নিয়মের ক্ষেত্রে আনা হতে চলেছে বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বদল (Post Office Rules). এই বিষয়টিকে কেন্দ্রীয় সরকার ‘পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্ট স্কিম (সংশোধিত) ২০২৩’ বলে নামাঙ্কিত করা হয়েছে। এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কি কি ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে।

মাত্র 10 হাজার টাকা জমিয়ে সারা জীবন প্রতিমাসে পান 17 হাজার টাকা।

Post Office Interest rate

১. ফিক্সড ডিপোজিট এর উপর সুদের ঘরে পরিবর্তন:-
পোস্ট অফিস ‘সেভিংস অ্যাকাউন্ট স্কিম (সংশোধিত) ২০২৩ অনুসারে’ একটি নির্দিষ্ট সময়ের মেয়াদে নূন্যতম অর্থমূল্য ফিক্সড ডিপোজিট করার ক্ষেত্রে সুদের হারে পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে যে কোনো মূল্যের অর্থই আপনি ফিক্সড ডিপোজিট করুন না কেন, দশম দিন এবং এক মাসের শেষে তার ওপর ৪ শতাংশ হারে সুদ দেবে পোস্ট অফিস। কিন্তু এই সুদের টাকা প্রতি মাসে ব্যবহারকারীর খাতায় জমা করা হবে না।

বরং পোস্ট অফিস জানিয়েছে যে একটি অর্থ বছরের শেষে সমস্ত সুদের টাকা একত্রিত করে টোটাল ব্যালান্স হিসেবে খাতায় এন্ট্রি করা হবে। যদি কোন ব্যক্তির পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকাকালীন তার মৃত্যু ঘটে তবে তার পাস বইতে সেই মাস পর্যন্তই সুদ এন্ট্রি করা হবে যে মাসে তিনি মারা গেছেন। এক্ষেত্রে তার পরিবারের সদস্যরা সেই টাকা প্রত্যাহার করতে পারেন।

Post Office Withdrawal Money

২. টাকা প্রত্যাহারের পদ্ধতির ক্ষেত্রে পরিবর্তন:-
২০১৯ সালের Post office rules on savings account বা ‘পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্টস স্কিম’ অনুসারে, কোন ব্যক্তির টাকা প্রত্যাহার করার ক্ষেত্রে নূন্যতম অর্থ যদি ৫০ টাকার কম হয় তবে ফর্ম ২ এবং পাস বই দেখিয়ে সেই টাকা প্রত্যাহার করা যেত। এছাড়া চেক অথবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সীমা উপর অর্থের প্রাপ্যতা অনুযায়ী টাকা প্রদান করা হতো।

এই নিয়মের বদল (Post Office Rules Change) করা হলো 2023 সালে। আগের ফর্ম ২ কে বাতিল করে এখন ফর্ম ৩ আনা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে টাকা তোলার সময় নূন্যতম অর্থ যদি ৫০ টাকার কম হয় সেক্ষেত্রে ফর্ম ৩ এবং পাসবই দ্বারা ব্যবহারকারীরা অর্থ প্রত্যাহার করতে পারবেন। চেক অথবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক পদ্ধতির ক্ষেত্রে কোন রূপ পরিবর্তন করা হয়নি।

বদলে গেলো লক্ষ্মীর ভান্ডারের আগের সব নিয়ম, নতুন নিয়মে সবাই মাসে পাবেন 1000 টাকা।

Post Office Joint Account

৩. সর্বাধিক জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের সংখ্যা পরিবর্তন:-
পূর্বে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে পোস্ট অফিসের নিয়ম (Post Office Rules) ছিল যে সর্বাধিক দুই জন ব্যক্তি তাদের নামে একটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। কিন্তু ২০২৩ সালের সংশোধিত স্কিম অনুসারে এই নিয়মে করা হয়েছে বড় এক পরিবর্তন। এখন থেকে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে সর্বাধিক তিন জন ব্যক্তির নাম নথিভুক্তকরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
Written by, Nabadip Saha