Global Warming – পৃথিবীর চড়া রোদ ও গরম কমাতে মহাকাশে ভার্চুয়াল ছাতা লাগাচ্ছে বিজ্ঞানীরা।

গরম তথা Global Warming যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখন তো গ্রীষ্মকাল এলেই আশঙ্কা শুরু হয়ে যায়। আর শুধু গরমকালের কথাই বা কেন, বছরের ১ থেকে ২ মাস ছাড়া বাকি সময়টাই তেতেপুড়ে (Extreme Heat in World) থাকে পৃথিবী। আর ফেব্রুয়ারি মাস যেতেই তাপপ্রবাহ বা Heat Wave এর কবলে পড়ছে গ্রীষ্মপ্রধান দেশ গুলো। শুধু তাই নয়, মধ্যপ্রাচ্য বা ইউরোপের মতো শীতের দেশ গুলোতেও চিমনি এর পাশাপাশি এসি এর ব্যবহার শুরু হয়েছে।

Sun Space Umbrella to protect Global warming

আর সেই Global Warming ও গরম কমানোর জন্য এবার অভিনব উপায় বাতলে দিলেন এক বিজ্ঞানী। যাতে সরাসরি সূর্যের আলো পৃথিবীতে এসে তীব্র গরম তৈরি করে দিতে না পারে। সেই জন্য মহাকাশে ছাতা লাগানোর পদ্ধতি (Sun Umbrella Setting in Sky) বার করা হয়েছে। পৃথিবী আর সূর্যের মাঝে যদি সেই ধরনের একটি ছাতা লাগিয়ে দেওয়া যায়, তাহলে সূর্যের আলো ওই ছাতা ভেদ করে যখন পৃথিবীতে আসবে, তখন তার উত্তাপ আর তেজ অনেকটাই কমে যাবে। ফলে একটু হলেও স্বস্তি পাবে পৃথিবী। গরমের তীব্রতাও কমবে।

আরও পড়ুন, শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ‍্যানেল করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করার উপায়।

রোদ মানেই সূর্যের আলো। তাই সূর্যের আলোকে যদি কোনো ভাবে আটকে দেওয়া যায়, তাহলে পৃথিবীর বুকে সূর্যের চড়া তাপ আসা বন্ধ হয়ে যাবে। বিশ্ব উষ্ণায়নের (Global Warming) সময় এই অভিনব উপায় যদি বাস্তবে রূপায়িত করা যায় তাহলে যথেষ্ট উপকৃত হবে বিশ্ব। সম্প্রতি জানা গেছে, হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোনমির এক মহাকাশ বিজ্ঞানী ইসভান জাপুদি মহাকাশে ছাতা লাগানোর এই অভিনব উপায় বাতলে দিয়েছেন।

Spaceborn Sun Umbrella to protect global warming

বিশ্বের অন্যান্য বিজ্ঞানীদেরও এই উপায়টি বেশ মনে ধরেছে। কিন্তু কিভাবে করা হবে? তার কারণ, মহাকাশে ছাতা লাগাতে গেলে যে উপাদান পাঠানো হবে, তা প্রচুর পরিমাণে ভারী হবে। তবে এবার বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তুলনায় হালকা উপাদান মহাকাশে পাঠাতে। যা অনেকটা দড়ি দিয়ে বাধার মতো অবস্থায় থাকবে।

আরও পড়ুন, আধার কার্ড হোল্ডারদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করছে UIDAI, জানতে ক্লিক করুন।

তবে এর আগেও মহাকাশে ছাতা লাগানোর একটা চেষ্টা করেছিলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। কিন্তু বিরাট ভারী হয়ে যাওয়ায় তা কখনোই সম্ভব হয়নি। যদি বিজ্ঞানী জাপুদির এই অভিনব প্রস্তাব বাস্তবায়িত করা যায়, তাহলে চড়া রোদ থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে সারা বিশ্ব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button