Primary TET 2014 – প্রাথমিকে 2016 সালের পর নিয়োগ পাওয়া সমস্ত শিক্ষকদের তালিকা চাইলো আদালত।

পশ্চিমবঙ্গের Primary TET 2014 নিয়ে মামলা আর পিছু ছাড়ছে না। আর আদালতের বিচারপতিদের একের পর এক নতুন নতুন নির্দেশ। এটা একেবারে ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হয়ে গিয়েছে। এবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে 2017 সালের পর যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা যারা নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন, তাদের বদলির সুপারিশ করা হয়েছিল, সেই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

WBBPE Primary TET 2014

আর কোলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে 2017 সালের পর যাদের Primary TET 2014 নিয়োগপত্র দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, এবং প্রথম স্কুল থেকে বদলির সুপারিশ (Teachers Transfer Case) হয়েছিল করা হয়েছিল, তাদের রিপোর্ট চাওয়ার নির্দেশ জারি হতেই পর্ষদের তরফে জানতে চাওয়া হয়, ২০১৭ সালের পর কোন শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলির জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল? অর্থাৎ ২০১৭ সাল ও তার পর থেকে যে সমস্ত শিক্ষক স্কুলে জয়েন করেছেন, এবং Primary TET 2014 যারা অন্যত্র বদলি ও হয়েছেন, সকলের তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে।

শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বদলির সুপারিশ করা নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় মামলাকারীদের বক্তব্য ছিল, যখন তাদের শিক্ষক শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়, তারপরে বদলি সংক্রান্ত নিয়মবিধি জারি করা হয়। তাই কমিশন সেই নিয়মবিধির উপর নির্ভর করে তাদের বদলি করতে পারেনা।

আরও পড়ুন, রাজ্য জুড়ে মুরগীর মাংসের দাম কমলো, নতুন দাম জেনে নিন।

প্রসঙ্গত, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা এবং হাওড়ার ৬০৩ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে বদলির সুপারিশ করা হয়। এটার ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে পর্ষদর বদলির সুপারিশ এর ক্ষেত্রে 2017 নিয়মবিধি মেনে করা কার্যকর করা হয়নি। আগের বদলির ক্ষেত্রে সংশোধিত হয়েছিল নিয়ম। উৎসশ্রী পোর্টাল চালু হওয়ার পর নিয়ম পরিবর্তিত হয়েছে।

এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে চলছে একাধিক মামলা। স্কুলে নতুন 12 হাজার শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে Stay Order দিয়েছে শীর্ষ আদালত। একের পর এক মামলায় নিত্য নতুন নির্দেশ। থমকে গিয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। আর সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে যে কোনো সমস্যাতেই সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন সকলে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশ।

WBBPE Primary TET Scam (প্রাইমারী টেট)

আর সেই নির্দেশ কার্যকর করতে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে না। পরীক্ষা হলেও রেজাল্ট প্রকাশিত হচ্ছে না। নিয়োগ হচ্ছেনা। আর নিয়োগ হলেও মামলা দায়ের হচ্ছে। এই মামলাতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট‍্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সমস্ত দিকে সামঞ্জস্য রেখে প্রশাসনিক দিক থেকে বদলি করা যেতে পারে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই বদলি সংক্রান্ত মামলার মেরিট অনুযায়ী শুনানি শুরু হতে চলেছে।

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মী ও শিক্ষকদের ছুটির নিয়ম বদল। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে নতুন নিয়ম জেনে নিন।

এবার ২০১৭ এর পরে নিয়োগপত্র পাওয়া শিক্ষক শিক্ষিকাদের বদলির সুপারিশ করার মামলাতে কি নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অন্যদিকে এর সাথে সুপ্রীম কোর্টে ঝুলে রয়েছে ২০১৭ সালের পর অর্থাৎ Primary TET 2014 এর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক শিক্ষিকারা। আপডেট আসছে, নজরে রাখতে ফলো করুন, সুখবর বাংলা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button