পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, আগস্ট মাসেই।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে নয়া ঘোষণা। সুপ্রীম কোর্টে ডিএ মামলা চলাকালীনই আবার নয়া কর্মসূচী ঘোষণা। আর যার জেরেই কার্যত অবাক কান্ড! নিজের পকেটে বেশি পরিমাণে টাকা ঢোকানোর জন্য এমন একটি আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা বলা হচ্ছে, যা শুনলে স্বাভাবিকভাবেই অবাক হতে হয়। দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্রীয় হারে Dearness Allowance দেওয়ার দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে আসছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। কলকাতার রাজপথে বসে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। মাঝেমধ্যেই রাজ্যজুড়ে আন্দোলন কর্মসূচি, পেন ডাউন, ধর্মঘট, ডিজিটাল স্ট্রাইক এর মত বিভিন্ন ঘোষণা করছেন।
বকেয়া ডিএ নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত
বর্তমানে এই বকেয়া ডি এ মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন রয়েছে। যেখানে এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া DA প্রসঙ্গ নিয়ে এই মামলার শুনানি শুরু হয়নি। একাধিকবার পিছিয়ে গিয়েছে শুনানি। এবার জানা গিয়েছে, চলতি মাসে মামলাটি শীর্ষ আদালতে উঠলেও ফের ৩ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এর ফলে বেশ কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছে DA আন্দোলনকারীরা।
এবার জানা যাচ্ছে, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ১৯৪২ সালের ৯ ই আগস্ট ইংরেজদের ভারত ছাড়া করতে যে ভারতছাড়ো আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, এবার সেই ধাঁচে এই পশ্চিমবঙ্গে ডিএ আন্দোলনকারীদের একাংশের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে বাংলা ছাড়ো মমতা স্লোগান তুলে আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। যদিও যৌথ মঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই কর্মসূচি নিয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তবে ৯ আগস্ট ভারতছাড়ো আন্দোলনের দিনেই বকেয়া ডি এর দাবিতে বাংলা ছাড়ো মমতা স্লোগান দিতে পারে যৌথ মঞ্চ। এমনটাই জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন, পুরোনো কয়েন বিক্রয় করার সঠিক ঠিকানা, হাজার ক্রেতার কাছে লাখ টাকায় বিক্রয় করুন।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পান। সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা 6% হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের তরফে সাম্প্রতিক কোষাগারের পরিস্থিতিও তুলে ধরা হয়েছে। এটা ঠিক, কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকাঠামো রাজ্য সরকারের পরিকাঠামো সম্পূর্ণ আলাদা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সে কথাও বলেছেন। যদিও এখন বকেয়া ডিএ মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে। সেখানে কি নির্দেশ আসে, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সবাই।
অথচ এর মধ্যেই যৌথ মঞ্চের তরফে ফের নতুন এক আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইংরেজদের ভারত ছাড়া করার জন্য দেশবাসী ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূচনা করেছিল। সেই আন্দোলনকে ভারতবাসী যথাযোগ্য শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে। আর সেই আন্দোলনের দিনেই নিজেদের পকেট ভরানোর জন্য বাংলা ছাড়ো মমতা কর্মসূচি ঘোষণা আদৌ কতখানি যুক্তিসঙ্গত, সেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
এবার দেখার বিষয়, যৌথ মঞ্চের ডাকে এই আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে তারা লক্ষ্যে সফল হন কিনা। এই বিষয়ে আপনার মতামত নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এদিকে কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের অষ্টম বেতন কমিশন বসতে চলেছে। আর সোনা যাচ্ছে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টা বেতন বাড়তে পারে। আপডেট আসছে।
সুখবর বাংলা ফলো করুন।
মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার বাস্তবতা আর যৌক্তিকতা আছে বলেই, কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সাযুজ্য রেখে গোটা দেশের অন্য সব রাজ্যগুলি তাদের সাধ্যমত তা দিচ্ছে। কিন্তু, আমাদের প্রিয় রাজ্যের বর্তমান সরকার এক্ষেত্রে চাতুরীর আশ্রয় নিচ্ছেন — এটাই অত্যন্ত বেদনাদায়ক। যে কর্মচারীদের সাহায্যে সরকারের সমস্ত কর্মকাণ্ড সফলভাবে রূপায়ণ হচ্ছে, সরকার তাঁদের অধিকাংশকেই বঞ্চিত করে যাচ্ছে।
It is not a fight for filling up the pocket. It is their legitimate demand as confirmed by SAT and calcutta high court. State government is purchasing votes at the cost of da of state govt employees and retained their KURSI so as to continue corruption at all levels and retain their cadre base.
DA must be given
No compromise
This is an anti people Govt.Depriving the employees,this Govt.is investing the money for their votebank by giving many types of ‘Shree’s.Actually the Govt successi created begger class by giving them so many types of benefits without doing any work.These people are used as the ‘goonda’ brigade of the Govt.So it is high time to oust this Anti-people Govt as soon as possible.