বাংলার নতুন প্রকল্প, আবেদন করলেই পাবেন নগদ 10000 টাকা।

রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত স্তরের মানুষের জন্য একের পর এক জনকল্যাণমূলক নতুন নতুন প্রকল্প তৈরি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। একদিকে যেমন ছাত্র-ছাত্রী, তপশীলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, অসংগঠিত শ্রমিক (Unorganized Workers) সমস্ত মানুষের চিকিৎসা বীমা, লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো নিয়মিত আর্থিক ভাতা দেওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হয়েছে।

বাংলায় চালু নতুন প্রকল্প

ঠিক সেভাবেই কন্যা সন্তানদের জন্য কন্যাশ্রী (Kanyasree) রূপশ্রী (Rupasree), গ্রামীণ এলাকার লোকসংগীত শিল্পীদের জন্য ভাতা প্রদান, রেশনের মাধ্যমে খাদ্যশস্য দেওয়া সহ বহু প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। ঠিক সেভাবেই রাজ্যের সমস্ত কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu Scheme) এর মাধ্যমে নিয়মিত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

যেখানে একজন কৃষক চাষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজের জন্য বছরে প্রায় ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন। তার পাশাপাশি নথিভূক্ত কৃষকের মৃত্যু হলে তার পরিবারকে এককালীন ২ লক্ষ টাকার সহায়তা দেওয়া হয়। কৃষক বন্ধু প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত কৃষকরা এখনো পর্যন্ত নাম নথিভুক্ত করেননি, এই নতুন প্রকল্প তে তারা কিভাবে আবেদন করতে পারেন, একবার দেখে নিন।

কিভাবে আবেদন করবেন?

নিজের এলাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করতে পারেন। এছাড়াও অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.matirkatha.gov.in এতে গিয়েও কৃষক বন্ধু স্কিম নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন। স্থানীয় BDO Office বা SDO Office-এ গিয়েও কৃষক বন্ধু স্কিমের জন্য আবেদন করতে পারেন।

'খেলা হবে প্রকল্প' (Khela Hobe Scheme)

খেলা হবে প্রকেল্পে আবেদন করবেন? ক্লিক করুন।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই স্কিমে খরিফ ও রবি মরশুমে এক একরের বেশি জমিতে যে সমস্ত কৃষকেরা চাষ করে ফসল উৎপাদন করেন, তারা সর্বাধিক ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দুই কিস্তিতে আর্থিক সহায়তা পাবেন।
যে সমস্ত চাষীদের এক একরের কম জমি রয়েছে, তারাও আনুপাতিক হারে দুই কিস্তিতে ৪ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন।
নথিভূক্ত কৃষকের মৃত্যু হলে পরিবার এককালীন ২ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা পাবেন।

আবেদনের জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে?

এই নতুন প্রকল্পে আবেদন করতে হলে, যে জমিতে চাষ করছেন সেই জমির পরচা, তাছাড়া রেজিস্ট্রেশন নথি, পাট্টা বা বন বিভাগের পাট্টা দিলেও চলবে।
আধার কার্ড, ভোটার কার্ড জমা দিতে হবে।
নিজের নামে জমি না থাকলে দলিল বা দানপত্র অথবা অন্য কোনো আইনি নথি জমা দিতে হবে। তার পাশাপাশি পঞ্চায়েত প্রধানের ওয়ারিশন সার্টিফিকেট লাগবে।

আরও পড়ুন, বাংলার কৃষকদের মুখে হাসি ফুটলো, মুখ্যমন্ত্রীর বিরাট ঘোষণা।

যে ব্যাংক একাউন্টের প্রথম পাতার কপি বা Cancelled Cheque জমা দেবেন, সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক থাকতে হবে।
ব্যাংক একাউন্ট এবং আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক থাকতে হবে।
আবেদনকারী কৃষকের পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
নথিভূক্ত কৃষকের মৃত্যু হলে পরিবার এককালীন ২ লক্ষ টাকার সাহায্য নিতে গেলে তার পরিচয় পত্র এবং ডেথ সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন নতুন প্রকল্প সম্পর্কে জানতে নিয়মিত সুখবর বাংলা ফলো করুন।
আর এই সংক্রান্ত আরও তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন।

Related Articles

4 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button