মহার্ঘভাতা বা Dearness Allowance

ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে, এলো নতুন আপডেট।
Dearness Allowance ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে বসে রয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। কারণটা কি? এবার সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ মামলার শুনানি হতে পারে। আর সেদিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরেই বকেয়া Dearness Allowance এর দাবিতে কলকাতার রাজপথে রাস্তায় বসে আন্দোলন বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন।

Dearness Allowance Case in Supreme Court

মাঝেমধ্যেই ধর্মঘট, কর্মবিরতি, পেন ডাউন, ডিজিটাল স্ট্রাইক এর মত কর্মসূচি করেছেন। যদিও সেক্ষেত্রে সেরকম প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। দিল্লিতে গিয়ে দরবার করে এলেও কোনো লাভ সেই অর্থে হয়নি। কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া Dearness Allowance দেওয়ার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে বারবার চেঁচামেচি করা হয়েছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের হারে DA দেওয়া সম্ভব নয়। রাজ্য সরকারের চাকরি করে কেন্দ্রীয় সরকারের হারে মহার্ঘভাতা বা Dearness Allowance দাবি করা যুক্তিসঙ্গত নয়। প্রসঙ্গত, রাজ্য বাজেটে ৩ শতাংশ DA ঘোষণা করা হয়। সেই হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা 6% হারে DA পাচ্ছেন। তবে তাতে তারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তারা আরও Dearness Allowance চান। প্রচুর পরিমাণে টাকা চান। আর তাই তারপরেও আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে গিয়েছেন।

সেক্ষেত্রে একাধিকবার রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলের তরফেও বলা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে সরকারের বহু সামাজিক প্রকল্প চলছে। যার মাধ্যমে রাজ্যবাসী উপকৃত হচ্ছেন। এই মুহূর্তে সরকারি কোষাগার থেকে বিরাট পরিমানে টাকা শুধুমাত্র মুষ্টিমেয় কিছু সরকারি চাকুরেদের ডিএ হিসেবে দিতে হলে সেই সমস্ত প্রকল্পের উপরে প্রভাব পড়বে। যেটা কখনোই সম্ভব নয়। কারণ তাতে অসুবিধায় পড়বেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ।

ফলে বকেয়া DA দেওয়া নিয়ে যৌথ মঞ্চের তরফে বিভিন্ন ধরনের দাবি সনদে বারে বারেই বলা হচ্ছে। এর মধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা অংশ নেবেন না বলেও দাবি করেছিলেন। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই পঞ্চায়েত নির্বাচন নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হয়েছে। ফলে সেখানেও তাদের সেই দাবির তরফে কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।

প্রাইমারী টেট মামলা নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (Primary TET 2014 Case)

আর এবার তারা লক্ষ্য রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের দায়ের করা বকেয়া ডিএ মামলার শুনানি নিয়ে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানা যাচ্ছে, আগামী ১৪ ই জুলাই শুক্রবার বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি মিত্তলের ডিভিশন বেঞ্চে বকেয়া ডি এ মামলাটির শুনানি হতে পারে। এক্ষেত্রে মামলার সিরিয়াল নম্বর হলো ৬০ ১০ নম্বর আদালত কক্ষে বিচারপতি রায় এবং বিচারপতি মিত্তলের বেঞ্চে রাজ্য সরকারের দায়ের করা এই বকেয়া DA মামলাটি শুনানির জন্য উঠতে পারে।

আর এই খবরটি জানার পরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের সংগঠনের তরফে বলা হচ্ছে, মামলাটি এবার খারিজ হতে পারে। তাদের পক্ষে যেতে পারে রায়। কিন্তু সেটা জানার জন্য তো অপেক্ষা করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে রাজ্য সরকারকে বকেয়া ডিএ মেটানোর নির্দেশ দেওয়ার পরে সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়। কিন্তু তাতেও হাইকোর্ট একই নির্দেশ বহাল রাখে। আর তারপরেই সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের তরফে এসএলপি দাখিল করা হয়।

আরও পড়ুন, সেভিংস একাউন্টে সর্বোচ্চ কত টাকা রাখতে পারবেন?

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের তরফে ২০১৬ সালে এই ডিএর দাবিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল বা (SAT) মামলা করা হয়। সেই মামলায় রাজ্য সরকারের জয় হয়। আর তারপরেই তারা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে।
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারকে বকেয়া ডি এ মেটানো নির্দেশ দেয়।

কিন্তু রাজ্য সরকার হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে SLP দাখিল করে। রাজ্যের সরকারি কোষাগরের পরিস্থিতির কথাও সরকারের তরফে জানানো হয়। এবার বেশ কয়েকবার শীর্ষ আদালতে বকেয়া Dearness Allowance মামলাটি শুনানির জন্য নির্দিষ্ট থাকলেও তা হয়নি। বিভিন্ন কারণে পিছিয়ে গিয়েছে। এবার ১৪ জুলাই শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি উঠতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।