পশ্চিমবঙ্গের ডিএ নিয়ে বড় খবর, আর মাত্র 4 দিন বাকি।
চরম পদক্ষেপ নিতে চলেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা (Dearness Allowance), কি হতে পারে?
ডিএ আন্দোলনে এবার নয়া মাত্রা যোগ হতে চলেছে। চরম আন্দোলনের পথে যেতে চলেছেন Dearness Allowance আন্দোলনকারীরা। এতদিন ধরে বকেয়া ডি এর দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে কখনো কর্মবিরতি, কখনো ধর্মঘট, কখনো পেন ডাউন, কখনো মিছিল সমাবেশ করে দাবি জানানো হচ্ছিল।
Dearness Allowance in West Bengal
কিন্তু এবার যে পদক্ষেপ নিতে চলেছেন তাতে সমাজ জীবনে বিরাট প্রভাব পড়তে পারে। যদি তাদের সেই নেওয়া পদক্ষেপ সফল হয়। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) এর দাবিতে তারা কলকাতার রাস্তায় বসে আন্দোলন (DA Movement) করে যাচ্ছেন। এবার সারা বাংলা জুড়ে জল বন্ধ (Water Shutdown Across West Bengal) কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
আগামী ৫ এবং ৬ জুলাই যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের ১ দিন আগেই এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে যৌথ মঞ্চ। স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে, পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থায় যদি সরাসরি এই ধরনের আন্দোলনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা সমাজ জীবনে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। যথেষ্ট সমস্যায় পড়ে যাবেন সাধারণ মানুষ।
যদি কিনা এই পানীয় জল বন্ধের কর্মসূচিতে ডিএ আন্দোলনকারীরা শামিল করতে পারেন অন্যান্য সমস্ত এই বিভাগের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের। কারণ এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ধর্মঘট বা কর্মবিরতির কথা বলা হলেও তা সার্বিকভাবে সারা রাজ্যে প্রভাব ফেলতে পারেনি। কিছু কিছু সরকারি অফিসে ধর্মঘটে অনুপস্থিত দেখা গেলেও একটা অংশ আবার সরকারি অফিসগুলোতে উপস্থিত ছিলেন।
ফলে সেই ভাবে কোনো সমস্যা রাজ্য জুড়ে তৈরি হয়নি। কিন্তু এবার যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) মেটানোর দাবিতেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের অধীনস্থ (PHE) পরিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মচারীরা ২ দিন এই কর্মবিরতি পালন করতে চলেছেন। যার ফলে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া DA মেটানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের তরফে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই নির্দেশ (Dearness Allowance) পুনরায় বিবেচনা করার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে পিটিশন করা হয়। তবুও হাইকোর্ট একই নির্দেশ বহাল রাখে। আর তারপরেই হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে SLP দাখিল করে রাজ্য সরকার। এখনো পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলার শুনানি শুরু হয়নি।
আর এর মধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। দিল্লিতে গিয়েও তারা দরবার করে এসেছে। রাজ্য সরকারের সচিব পর্যায়ের সঙ্গে ডি এ আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের বৈঠক হলেও সেখান থেকে বিষয়টির সমাধান হয়নি। কারণ ডিএ আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া DA দিতে হবে।
আরও পড়ুন, বদলে গেল কর ব্যবস্থা, সরকারি কর্মীদের ইনকাম ট্যাক্স লাগবে না?
আর এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৪২ শতাংশ DA পাচ্ছেন। সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মীরা পাচ্ছেন ৬ শতাংশ ডিএ। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের পরিকাঠামো আর কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকাঠামো এক নয়। তাই রাজ্যের চাকরি করে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ এর দাবি যুক্তিসঙ্গত নয়।
কিন্তু এর মধ্যেই যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে বাংলা জুড়ে যে জল বন্ধ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে আগামী 5 এবং 6 জুলাই, সেই আন্দোলন কর্মসূচিতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের অধীনে পানীয় জল সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীরা অংশ নেবেন বলে জানানো হয়েছে। সেখানে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধের মতো আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ সাধারণ কর্মবিরতি বা ধর্মঘটের মতো এটি নয়। পানীয় জল সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীরা যদি অংশগ্রহণ করেন, তাহলে সেক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে, সমস্যা তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘোষণা।