এবার বামফ্রন্ট আমলের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলা হাইকোর্টে, 2011 সালের আগের নিয়োগ নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলা ২০১১ঃ

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে অস্বস্তিতে বর্তমান রাজ্য সরকার। আর এর মধ্যে ২০১১ বা তার আগের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের হলো কোলকাতা হাইকোর্টে। ইতিমধ্যেই চিরকুটে চাকরি! প্রসঙ্গটি বিতর্কে এসেছে। আর সেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে নয়া নির্দেশ কোলকাতা হাইকোর্টের।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলা

প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এবার খারিজ করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (Primary Teachers Recruitment Case) একাধিক মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। তার মধ্যে বহু মামলায় সিবিআই তদন্ত করছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ এই একের পর এক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। আর সেই সমস্ত মামলার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া একইভাবে চলছে।

কখনো চাকরি বাতিল, কখনো সেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ, কখনো ডিভিশন বেঞ্চে রিভিউ পিটিশন, একের পর এক মামলার প্যাঁচে পড়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার বামফ্রন্ট আমলের নিয়োগ তথা ২০১১ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলা খারিজ করে দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরিতে নিয়োগ হওয়ার ১০ বছর পরে মামলা দায়ের, সেই কারণেই এই মামলা খারিজ করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

ইতিমধ্যেই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইতিমধ্যে ডিভিশন বেঞ্চের তরফে স্থগিতাদেশ (Stay Order) দেওয়া হয়েছে। ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের অধিকাংশই যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন বলে জানানো হয়েছে নিখিল বঙ্গীয় প্রাথমিক সমিতির তরফে। পাশাপাশি, এই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার পথে হাঁটছে শিক্ষক সংগঠন।

আরও পড়ুন, ৩২০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিল নিয়ে নয়া নির্দেশ।

সেক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন (Review Petition) দাখিল করতে চলেছে এই সংগঠন। নিখিল বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, 2017 সালে যে সমস্ত শিক্ষকেরা চাকরিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন, সেই ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের অধিকাংশই যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি পেয়েছিলেন। তাই এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারা আইনি পথেই হাঁটছেন।

আরও পড়ুন, অবশেষে রান্নার গ্যাসের দাম কমলো, খুশি আমজনতা।

পাশাপাশি, ৬ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত সমস্ত জেলার বিদ্যালয় সংসদের অফিসের সামনে বিক্ষোভ এবং ডেপুটেশন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে এই শিক্ষক সংগঠনের তরফে।
এবার ২০১১ সালের প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় খারিজ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button