Ration Card – রেশন গ্রাহকদের সুখবর, কারচুপি ঠেকাতে 21000 রেশন দোকানে বসছে নতুন যন্ত্র।

রেশনে দুর্নীতি আটকাতে কড়া পদক্ষেপ সরকারের, Ration Card নিয়ে নয়া নিয়ম।

অধিকাংশ রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যায়। Ration Card ও রেশন সামগ্রী সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের কারচুপি করে রেশনে সরকারের তরফ থেকে দেওয়া খাদ্য সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ফলে ন্যায্য উপভোক্তারা প্রাপ্য সামগ্রী থেকে বঞ্চিত হন। এবার সেই দিকে কড়া নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার। যাতে রেশন দোকানের এই ধরনের সমস্ত দুর্নীতি বন্ধ করা যায় সেই কারণে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

আগেই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ নিয়ে রেশনে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হতো। চোখের রেটিনা স্ক্যান করে এবং আধার সংযোগের উপর ভিত্তি করেই রেশনে নিয়মিত খাদ্যদ্রব্য দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে, রেশন ডিলারদের একাংশ বিভিন্ন ধরনের কারচুপি করছেন। ফলে ন্যায্য উপভোক্তারা রেশন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এরকম অভিযোগ একাধিক বার উঠেছে। এবার তাই রাজ্য সরকারের খাদ্য দপ্তরের তরফে সমস্ত রেশন দোকানে ডিজিটাল ওয়েয়িং মেশিন (Digital Weighing Machine) বা বৈদ্যুতিন ওজন মাপার যন্ত্র বসানোর প্রক্রিয়া চালু হয়েছে।

এই ইলেকট্রিক্যাল ওয়েট মেশিনের সঙ্গে রেশন দোকানের ই-পস মেশিন যুক্ত (Electronic Weight Machine Connect with E-POS Machine) করা হবে। যার ফলে যে কোনো গ্রাহককে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার সময় কত ওজন, কি খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে, তার সম্পূর্ণ বিস্তারিত তথ্য ই- পস মেশিনের মাধ্যমে খাদ্য দপ্তরের সার্ভারে জমা হবে। যার ফলে সামগ্রিক রেশন ব্যবস্থার উপরে নজরদারি করতে পারবে খাদ্য দপ্তর। খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে ২১ হাজার রেশন দোকানে মোট ৯ কোটি ২০ লক্ষ গ্রাহক রয়েছেন।

এরমধ্যেই রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৫টি করে Ration Card এর রেশন দোকানে রেটিনা স্ক্যান করে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। খাদ্য দপ্তরের (Food Department) বিভিন্ন কাজ অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে যাওয়ায় বহু কর্মীকে বিভিন্ন জেলায় বদলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এক সংবাদমাধ্যমে জানান, যাতে ন্যায্য উপভোক্তারা Ration Card থেকে রেশনে খাদ্য সামগ্রী পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন, সেই কারণেই এই নতুন ডিজিটাল ওয়েয়িং মেশিন সমস্ত রেশন দোকানে বসানো হচ্ছে।

রেশন গ্রাহকদের জন্য বিরাট সুখবর মে মাসে দুইবার খাদ্যসামগ্রী পাবেন, জানালো সরকার।

E-POS মেশিনের সঙ্গে এই বৈদ্যুতিন ওজন মাপার যন্ত্র যুক্ত করা হবে। যার ফলে একজন Ration Card ধারী বা রেশন গ্রাহককে (Ration Card) কত ওজনের খাদ্য দ্রব্য দেওয়া হচ্ছে তা সম্পূর্ণ সংরক্ষিত হয়ে যাবে। আর এর ফলেই অসৎ দোকানদারদের উপরে কড়া নজরদারি করা সম্ভব হবে। আর সামগ্রিক ভাবে রেশন দুর্নীতি নিয়ন্ত্রন করা যাবে।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা কাটছে! আর টাকা পাবেন না, এই নিয়ম না মানলে। লক্ষ্মীর ভান্ডার স্ট্যাটাস চেক লিস্ট।

খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন রেশন ডিলারদের লাইসেন্স দেওয়ার সময় প্রতিটি ডিলার পিছু গ্রাহক সংখ্যা ৩০০০ এর মধ্যে বেঁধে দিতে চাইছে দপ্তর। আগামী মাসের মধ্যে রাজ্যের ২১ হাজার রেশন দোকানে এই নতুন ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে বলেই জানা যাচ্ছে। ডিজিটাল ওয়েয়িং মেশিনের সঙ্গে রেশন দোকানের ই পস যন্ত্র যুক্ত করে দেওয়া হবে। যার ফলে রেশন দোকানের দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button