রাজ্যের প্রাইমারি স্কুলে প্রধান শিক্ষক পদ সংক্রান্ত নতুন আপডেট জানতে ক্লিক করুন।

পশ্চিমবঙ্গের প্রাইমারি স্কুল গুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত নতুন আপডেট সামনে এল। এবার থেকে নতুন করে নিয়োগের চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেক্ষেত্রে কি কি বিষয়ে করা হতে পরিবর্তন, কত সংখ্যায় হবে নিয়োগ – এই সকল খুঁটিনাটি তথ্য নিয়ে আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক।

রাজ্যে নতুন করে প্রাইমারি স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের তোড়জোড় শুরু।

বহু বছর ধরেই পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয় নি। যার ফলে অধিকাংশ স্কুলেরই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। এবারে সেই বিনা পারিশ্রমিকের দায়িত্বভার থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন তারা। এবারে রাজ্যের প্রায় সমস্ত স্কুলেই নিয়োগ করা হবে প্রধান শিক্ষক। আজ সেই বিষয়ে যে সকল তথ্য সামনে আসছে তা জেনে নেওয়া যাক।

প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবারও এলো বদল। 2018 সালের আগে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য অনুমোদন দিত জেলা স্কুল পরিদর্শকরা। পরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে বদলে যায় এই নিয়ম। 2018 সাল থেকে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনুমোদন দিত শিক্ষা দফতর।

2023 সাল অবধি এই নিয়ম প্রচলিত ছিল। তবে আবারও এলো বদল। শিক্ষা দফতর সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই ব্যাপারে আলোকপাত করেছে। রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, চলতি বছর থেকে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনুমোদন দেবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।

বাম্পার মোবাইল রিচার্জ সেরা অফার, এক রিচার্জে 4 গুন সুবিধা, কম দামে সেরা প্ল্যান।

অর্থাৎ ফের পুরনো নিয়মকে ফিরিয়ে আনলো সরকার। উল্লেখ্য, বর্তমানে সারা রাজ্যজুড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে জটিলতা চলছে। প্রাথমিকের দুর্নীতি কান্ডের বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। প্রতিদিন বিভিন্ন ভাবে মামলার মোড় ঘুরে যাচ্ছে। রাজ্যের নেতামন্ত্রীসহ শিক্ষক বোর্ডের প্রধানদের এই দুর্নীতির সাথে নাম জড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের নিয়মে বদল নিয়ে এলো সরকার।

পশ্চিমবঙ্গের রেশন কার্ড গ্রাহকেরা বিনামূল্যে 3 কেজি চাল ও 2 কেজি গম পাবেন, কি কি পাবেন দেখে নিন।

এর ফলে আলোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। সরকার অবশ্য এই নিয়ম পরিবর্তনের বিষয়টিকে বিকেন্দ্রীকরণের চেষ্টা হিসেবে দেখানো হচ্ছে বলে জানাচ্ছে। যদিও বেশির ভাগ মানুষই মনে করছেন, ক্রমাগত দুর্নীতির অভিযোগে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়েছে সরকার। সেখান থেকে অব্যাহতি পেতেই এমন নিয়ম বদল। এবার দেখার বিষয় যে কতদিন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এই নিয়ম চালু থাকে।Written by Parna Banerjee.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button