ইউনিক ব্যবসার টিপস

টেকনোলজির ক্রমবর্ধমান উন্নতিতে পৃথিবী ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। ইউনিক ব্যবসার তথ্য সামনে আসছে ধীরে ধীরে। বদলাচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গি, জীবন যাপনের পদ্ধতিও। সেই সাথে বদল আসছে চাকরি এবং ব্যবসাতেও। তথাকথিত ব্যবসা ছেড়ে এখন অনেকেই নতুন নতুন ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। এই ব্যবসাগুলির চাহিদা বর্তমানে অনেকটাই বেশি। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক।

ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া জানা থাকলে, ঘরে বসে থাকার দিন শেষ।

এখন থেকেই যদি ইউনিক ব্যবসা শুরু করা যায় তাহলে ভবিষ্যতে এদের চাহিদা দিন দিন আরও বাড়বে। আপনি যদি কোন ইউনিক ব্যবসা করার জন্য বিশেষ কিছু আইডিয়া খুঁজছেন, তাহলে জেনে নিন কোন ব্যবসা করে বর্তমান যুগের সাথে তাল মেলানোর সাথে সাথে মোটা টাকা আয়ও করতে পারবেন। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে আগে দরকার সাহস আর একটু বেশি পরিশ্রম।

কয়েকটি ইউনিক ব্যবসার আইডিয়া জেনে নেওয়া যাক।
১. ওয়েব ডিজাইনিং কোম্পানিঃ-
ইউনিক ব্যবসা হিসেবে ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এখন বেশ জনপ্রিয় একটি পেশা। বহু ছোট বড়ো কোম্পানি এখন অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহক টানতে অনলাইনে নিজেদের ওয়েবসাইট বানাতে চাইছে। তাই ওয়েব ডিজাইনারদের একত্রিত করে কোম্পানি খুলতেই পারেন আপনিও। এতে খুব বেশি পুঁজির দরকার হয় না।

২. অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ব্র্যান্ডঃ-
স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারে ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস বজায় রাখতে অ্যাপ ব্যবহার করে। এর জন্য কোডিং জানা দরকার। তাই কোডিং জানেন এমন ব্যক্তিদের নিয়ে বা আপনি নিজেই শিখে নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
৩. ডিজিটাল মার্কেটিং ব্র্যান্ডঃ-
বড়ো হোক বা ছোট, সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানই এখন অনলাইনে উপলব্ধ। ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞরা প্রযুক্তিগত ভাবে ব্যবসায়িক বৃদ্ধিতে সহায়তা করেন। তাই এটা নিয়ে ব্যবসা শুরু করাই যায়।

৪. সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ব্যবসাঃ-
কোনও ওয়েবসাইটের ভিউ বাড়াতে প্রয়োজন পড়ে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের। তাই এসইও-এর কদর দিন দিন বাড়ছে। এই বিষয়ে জ্ঞান থাকলে সহজেই একটি ফার্ম শুরু করতেই পারেন।
৫. গাড়ি পরিষ্কারের ব্যবসাঃ-
সমীক্ষা জানাচ্ছে, আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে পৃথিবীতে গাড়ির সংখ্যা প্রায় ৩.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিত্য গাড়ি ধোয়ার প্রয়োজনও বাড়বে। সেক্ষেত্রে  ধোয়ার ব্যবসা চালু করলে সহজেই মোটা অঙ্কের টাকা রোজগার করা সম্ভব।

৬. ভার্চুয়াল শিক্ষকতাঃ-
মহামারীর পর থেকে সময় বাঁচাতে অনেকেই অনলাইন শিক্ষাগ্রহণে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফলে বাড়ছে অনলাইন শিক্ষকদের কদর। ব্যবসা শুরু করার জন্য অনলাইন শিক্ষকতা এখন নিঃসন্দেহে একটি জনপ্রিয় পেশা।
৭. ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ সংস্থাঃ-
শরীরচর্চা বা যোগ বা প্রাণায়ম বা রান্নার ক্লাস শেখানোর সংস্থা খুলতে পারেন। আবার বিদেশী ভাষাও শেখানো যায় অনলাইনে।

লটারি জেতার আসল রহস্য, চুপি চুপি জেনে রাখুন।

৮. কেটারিং ব্র্যান্ডঃ-
মহামারীর সময় বহু কেটারিং সংস্থাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে যাঁরা ক্ষুদ্র উদ্যোগপতি তাঁরা নিজেদের এলাকায় নতুন করে কেটারিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
৯. আইটি সাপোর্টঃ-
কোভিডের সময় বহু সংস্থাই কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে দিয়েছিল। সেই অভ্যাস রয়েছে আজও। ওয়ার্ক ফ্রম হোম মাধ্যমে কাজ করতে গেলে মাঝেমাঝেই প্রযুক্তিগত সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, সেই সমস্যার সমাধান করার জন্য এলাকা ভিত্তিক ক্ষুদ্র স্তরে একটি আইটি সাপোর্ট সংস্থা বানালে তা অবশ্যই লাভ দায়ক  হবে।

ই কাজ না করলে আবাস যোজনা, কিষান যোজনা ও 100 দিনের টাকা পাবেন না, আর পেলেও ফেরত দিতে হবে।

১০. প্রোপার্টি ম্যানেজমেন্টঃ-
কোভিড পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বেই আবাসন শিল্প বেশ মন্দার মুখে পড়েছে। বহু মানুষই নিজের বাড়ি কেনার থেকে ভাড়া বাড়িতে থাকার কথা ভাবছেন। সেক্ষেত্রে জমি বাড়ি কেনা বেচা বা বাড়ি ভাড়া দেওয়া বা তদারক করার ফার্ম খুলতে পারেন আপনি। আরও ব্যবসার আইডিয়া জানতে দেখতে থাকুন সুখবর বাংলা।
Written by Parna Banerjee.