এবারের Madhyamik Exam 2023 – নিতে গিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র সংক্রান্ত জটিলতা, পরীক্ষা হবে কোথায়! বিস্তারিত দেখুন।

Madhyamik Exam 2023 শুরু হতে আর বাকি নেই 7 দিনও। এই মুহূর্তে কপালে বেশ চিন্তার ভাঁজ দেখা দিল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। হঠাৎ করেই তড়িঘড়ি নির্দেশিকা পাঠাল পর্ষদ। তারা কীভাবে এবারের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে ম্মাধ্যমিক পরীক্ষা নেবেন, তা নিয়েই ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে এবারের মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী কমে গিয়েছে অনেকাংশেই। এরপর পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ে জটিলতার কারণ জানতে পড়ে নেওয়া যাক প্রতিবেদনটি।

গ্রুপ ডি কর্মী নেই, Madhyamik Exam 2023 – পরীক্ষায় গার্ড দেবে কে? সিদ্ধান্ত নিতে মরিয়া WBBSE.

Madhyamik Exam 2023 নিতে গিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রুপ ডি কর্মী নেই পর্ষদের কাছে। প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় 15 শতাংশেরও বেশি পরীক্ষা কেন্দ্রে গ্রুপ ডি কর্মীর অভাব রয়েছে বলে সূত্রের খবর। অথচ সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষার কেন্দ্রগুলিতে কীভাবে এই পরিস্থিতি কিভাবে সামাল দেওয়া যায় তা দেখভাল করার দায় জেলা স্কুল পরিদর্শক বা ডিআই-দেরই উপরেই দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

23 ফেব্রুয়ারি থেকে Madhyamik Exam 2023 – শুরু রাজ্যে। অথচ পরীক্ষাকেন্দ্র গুলিতে পাহারা দেবার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক গ্রুপ ডি কর্মী নেই। এই বিষয়ে রাজ্যের 23টি জেলার স্কুল বিদ্যালয় পরিদর্শকদের চিঠি পাঠিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়েছে সাম্প্রতিক কালে হাইকোর্টের নির্দেশে 1911 জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে মাধ্যমিক পরীক্ষাতে।

ঠিক কোন কোন Madhyamik Exam – এর পরীক্ষা কেন্দ্রে কত গ্রুপ ডি কর্মীর অভাব রয়েছে, তার নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করে জেলা বিদ্যালয় স্কুল পরিদর্শকদের অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্যার সমাধান করার জন্য, কোনও নির্দিষ্ট উপায়ের উল্লেখ না করলেও চিঠিতে পর্ষদ জানিয়েছে স্কুল পরিদর্শকদেরই এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে অন্যান্য স্কুল থেকেও গ্রুপ ডি কর্মী এনে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে হবে।

নবান্নে Madhyamik HS নিয়ে মুখ্য সচিবের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, কড়া নির্দেশিকা! এক্ষুনি দেখে নিন।

বুধবার এই বিষয়টি নিয়ে একটির জরুরি বৈঠকের আয়োজন করা হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে। বৈঠকের পরেই এই নির্দেশিকা রাজ্যের 23টি জেলাকে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দুর্নীতির জেরে চাকরি পেয়েছেন এমন 1911 জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিল করা হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে। এর ফলে প্রায় 15 শতাংশেরও বেশি মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে এর প্রভাব পড়তে চলেছে। এবছর রাজ্য জুড়ে 2857টি পরীক্ষা কেন্দ্রে মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে এর মধ্যে 400 টিরও বেশি পরীক্ষা কেন্দ্রে গ্রুপ ডি কর্মীর সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম।

আগামীকাল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য, পরীক্ষার্থীর সাথে সাধারন মানুষেরও মানতে হবে একগুচ্ছ বিধি নিষেধ।

পর্ষদ যে রিপোর্ট পেয়েছে তাতে, 355 টি পরীক্ষা কেন্দ্রে একজন করে গ্রুপ ডি কর্মীর  চাকরি গিয়েছে। আবার 55টি পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে কোনও পরীক্ষা কেন্দ্রে দুইজন জন, আবার কোনও পরীক্ষা কেন্দ্রে তিনজন করে গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি গিয়েছে।এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালনা করতে বিভিন্ন জেলার ডিআইদের উপরেই ভরসা করছে পর্ষদ।
Written by Parna Banerjee.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button