এই ব্যবসা করে হতে পারেন লাখ লাখ টাকার মালিক, সহজ পদ্ধতি জেনে শুরু করুন।

ব্যবসা ছাড়া দ্রুত আর্থিক উন্নতি অসম্ভব। বেকারত্ব আমদের সমাজ কে আর্থিক ভাবে দুর্বল করে দিচ্ছে। ঘরে ঘরে বেকার যুবক যুবতী চাকরীর আশায় এদিক ওদিক পানে ছুটে বেড়ায়। সরকারি চাকরী এখন সোনার হরিণ। সমাজের কিছু অসৎ ব্যাক্তিরা চাকরী দেবার নাম করে প্রচুর পরিমাণ টাকা নিয়ে মানুষের সাথে করে প্রতারণা। তাই লোকের পিছনে ঘুরে সময় নষ্ট না করে বাড়িতে বসে ব্যবসা করুন। আর আয় করুন প্রচুর টাকা।

এই ব্যবসাই এনে দেবে আর্থিক সফলতা।

বর্তমানে কুল চাষ এমন একটি ব্যবসা পদ্ধতি যেটি করে খুব সহজে লাখপতি হওয়া সম্ভব! হ্যাঁ, একদম ঠিক পড়ছেন। কেবল কুল চাষ করে লাখপতি হবার দিশা দেখাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার শ্রীপুর গ্রামে এক চাষী। তিনি অবশ্য আপেল কুল চাষ করছেন। সাধারণ কুলের চেয়ে আকারে বেশ খানিকটা বড়ো দেখতে এই আপেল কুল।

চাষবাসের ব্যাপারে আর্থিক ভাবে কোনো সরকারি সহায়তা তো দূরে থাক, চাষ পদ্ধতি শেখানোর জন্যে কোনো সরকারি কর্মশালাও নেই। গাছের চারা কিনতে গিয়ে ঠকতেও হয় চাষিদের। তবে এতকিছুর পরেও কিন্তু বেশ ভালোই লাভের মুখ দেখেছেন আপেল কুলের চাষিরা। এর ফলেই এবারের মরসুমে গ্রামের বেশির ভাগ চাষিই আপেল কুল চাষ করছেন।

আপেল কুল চাষ প্রসঙ্গে কৃষিবিদরা জানাচ্ছেন যে, উর্বর বা অনুর্বর দুই প্রকার জমিতেই বেশ কম খরচে এবং কম খাটনিতে আপেল কুল চাষ করা যায়। কিন্তু চাষ শুরু করার আগে চাষিদের সঠিক জাতের চারা নির্বাচন করতে জানতে হবে। ভালো গুণমানযুক্ত চারা লাগাতে পারলে ফলনও ভালো হয়।

মূলত বর্ষার ঠিক পরেই আপেল কুলের চারা লাগানো উচিত। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত গাছের চারা বোনা হয়। গাছ থেকে গাছ ও সারি থেকে সারির মধ্যে দূরত্ব 10 ফুট বাই 10 ফুট রাখতে হয়। এই ভাবে প্রতি বিঘাতে 200 টির বেশি গাছ লাগানো যাবে। আকারে ছোট হওয়ায় গাছটি পরিচর্যা বেশ সহজেই করা যায়।

আপেল কুল চাষের একটি অন্যতম ভালো দিক হচ্ছে, এগুলি চাষে ঘন ঘন সেচ প্রদানের দরকার হয় না। মাটিতে জল পর্যাপ্ত থাকলেই এর ফলন সঠিক হয়ে থাকে। কিন্তু মাটি একদম শুষ্ক যেন না থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং মাটির অবস্থা বুঝে জল দিতে হবে।

নতুন ব্যবসা, বিরাট লাভ। ছোট্ট মেশিন কিনে এই ব্যাবসা শুরু করলে কাস্টোমার হামলে পড়বে।

কৃষি দফতর থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে, বছরে দুবার এই আপেল কুল গাছ গুলি থেকে ফলন পাওয়া যায়। চারা রোপণের 10 মাসের মাথায় চারাগুলো পরিপক্ব হয় এবং12 মাসের মাথায় গাছে ফুল আসে। প্রথম বছরেই গাছ থেকে বিঘা প্রতি অন্তত 60-70 কেজি ফল উৎপাদন হয়ে থাকে। পরবর্তীতে গাছের বয়স বাড়ার সাথে সাথে উৎপাদনও বাড়তে থাকে। গাছগুলো সম্পূর্ণরূপ পরিপক্ব হলে প্রায় 10 বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়।

এই ব্যবসা শুরু করলে মাত্র 1000 টাকার পুঁজিতে লাভ দেখলেই চমকে যাবেন। বিস্তারিত দেখুন।

বর্তমানে প্রায় 70 টাকা কেজি দরে পাইকারি বাজারে আপেল কুল বিক্রি হয়ে থাকে। সুতরাং, আপেল কুল চাষ করে কৃষকবন্ধুরা যে বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন, তা বলাই বাহুল্য। এমন আরও ব্যবসার আইডিয়া জানতে দেখতে থাকুন আমাদের প্রতিবেদন।
Written by Parna Banerjee.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button