আবাস যোজনার টাকা ফেরত দিতে হবে, 2 তলা বাড়ি থাকলেও অনেকে টাকা পেয়েছে। তাদের লিস্ট দেখুন।
আগেই কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তথা PM Awas Yojana নিয়ে চলেছে কেন্দ্র-রাজ্যের অর্থাৎ Central vs State এর যুক্তি-পাল্টা যুক্তি। টাকা নিয়ে রাজ্য পঞ্চায়েত 50 পাতার লিস্ট দিয়েছিল কেন্দ্রকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা মেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ ছিল। তবে সঠিক গ্রাহক খুজতে রাজ্য এখন বেশ মরিয়া।
আবাস যোজনায় গ্রাহকদের লিস্ট ধরে ধরে যাচাই!
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট হবার দিনক্ষণ আন্দাজ করা হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারীতেই। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সহ অন্যান্য প্রকল্প গুলি নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য সরকারের অন্যতম লক্ষ্য এখন বাংলার জনগন। সমস্ত রকম প্রকল্প যেন বাংলার মানুষের কাছে খুব দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে বেশ তৎপর হচ্ছে রাজ্য সরকার।
এই কারণে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অর্থাৎ Central Govt. Scheme এর বকেয়া টাকা পাওয়া নিয়ে বেশ মরিয়া হয়ে উঠছে রাজ্য সরকার। আর এই কারণেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা বাংলার বাড়ি প্রকল্পের জন্য যে সমস্ত রিপোর্ট চেয়েছিল কেন্দ্র তা দেওয়া হলো তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এছাড়াও রাজ্যের আশা কর্মীদেরকে মাঠে নামিয়ে রাজ্যের সমস্ত গ্রাহকদের/ আবেদনকারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি রাজ্যের কৃষি ভবন থেকে কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা অর্থাৎ PM Awas Yojana নিয়ে বেশ কিছু তথ্য সামনে এসেছে। বারে বারে শোনা গেছে, রাজ্য কেন্দ্রের কাছে প্রচুর টাকা পায় বকেয়া হিসেবে। সেই প্রকল্প গুলি মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাও।
তবে এই নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলীয় বিভিন্ন নেতাদের কথার বাস্তবিক প্রমাণ পাচ্ছেন আশা কর্মীরা। তাদের দাবী, এমন অনেকেই আছেন, যারা 2 তলা পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও পেয়েছে কেন্দ্রের আবাস যোজনার সুবিধা।
সেই সকল প্রকল্পগুলি সম্পন্ন করার লক্ষ্যে গত 15 তারিখ রাজ্য পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে একটি 50 পাতার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যে রিপোর্টে বাড়ি প্রকল্পে সব কিছু বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্ট রাজ্য মানছে না পুরোপুরি।
কিছু দিন আগেই কেন্দ্রীয় কমিটি রাজ্যে এসে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা অর্থাৎ PM Awas Yojana নিয়ে সার্ভে করে। তারপর রিপোর্ট অর্থাৎ Update Reports জমা করে। উক্ত রিপোর্টে কেন্দ্রের ঐ কমিটির পক্ষ থেকে বেশ কিছু বিষয়ে অসঙ্গতির কথা বলা হয়েছে। এই রিপোর্টের মিল পাচ্ছেন আশা কর্মীরা। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তারা চরম পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছেন। আশা কর্মীদের আন্দোলনে নামতেও দেখা গেছে।
বীরভূমের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় দল অভিযোগ করেছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে দেখা গেছে অনেক অসংগতি। কিছু বাড়ির খোঁজ তারা দিয়েছেন, যেখানে থাকার মতো পরিবেশ নেই। কোন বাড়ির টয়লেট নেই, কোথাও ছাদও তৈরি হয়নি। এই যোজনার কাজ অসম্পূর্ন থাকার ফলে মানুষের হয়রানির শেষ নেই।
সাপ্তাহিক রাশিফল (12-18ই ডিসেম্বর, 2022) – এ সপ্তাহের ভাগ্যলেখা দেখে নিন। Part-2.
যদিও এই রিপোর্টের পাল্টা যুক্তি দিয়েছে রাজ্য সরকার। তারা বলছে, রিপোর্টে অনেক গফিলতি আছে। এই নিয়ে কেন্দ্র করছে প্রতিহিংসার রাজনীতি। কারণ প্রতিনিধি দল যখন পর্যবেক্ষণে এসেছিল, তখন কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। সেই ছবিও রিপোর্টে তুলে ধরেছে ঐ প্রতিনিধি দল।
পরিদর্শকরা সামনে থেকেই সম্পূর্ণ না দেখে চলে গিয়েছেন। কোন বাড়ির পিছন দিকে টয়লেট ছিল, যা সামনে থেকে দেখা যায় না। নিজেদের বক্তব্যের সাপেক্ষে প্রমাণ হিসাবে সেই ছবি তোলা হয়েছে সামনে থেকে। তবে কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা সদাই বলে থাকে রাজ্য।
বদলে গেল বাংলা আবাস যোজনার নিয়ম, যারা এখনও টাকা পাননি তাদের এগুলো করতে হবে।
তবে এবারে সব ভুলে কিভাবে আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে সমস্ত বকেয়া পাওয়া যায়, সেদিকেই এখন রাজ্য সরকারের লক্ষ্য। এদিকে রাজ্যবাসী তাকিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে। এ বিষয়ে আরো তথ্য পেলে অবশ্যই প্রতিবেদন আনা হবে। আপনার মতামত জানা কমেন্ট বক্সে। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.
আমরা এখানে বসবাসকারী হয়ে গেছি আজ থেকে 50বছর ধরে কিন্তু কোনো পাকা বাড়ি পাইনি আমরা পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছিলাম কিন্তু আমাদের কোন সুবিধা পাইনি আমরা আপনাদের কাছে আবেদন করেছি আপনারা পারেন আমাদের হেল্প করতে
গ্রাম বৃন্দাবন পুর , পোস্ট ডালপাড়া, জেলা পূর্ব মেদিনীপুর ,থানা, পাঁশকুড়া, অঞ্চল মাইশোরা, ব্লক পাঁশকুরা১,নাম বাপন রুইদাস,বাবার নাম হরি পদ রুইদাস,