West Bengal – বার্ষিক পরীক্ষার আগেই নভেম্বরে ফের লম্বা ছুটি স্কুলে স্কুলে, নবান্নে জরুরী বৈঠক।

West Bengal  রাজ্য তথা দেশ বিগত বছরগুলিতে মহামারীর মারাত্মক কবলে প্রায় গতিহীন হয়ে পড়েছিল। তবে হঠাৎ করেই এখন West Bengal রাজ্যে দেখা দিচ্ছে ডেঙ্গি। চারিদিকে এই রোগের পজেটিভিটি রেট অনেক বেশি। এমতাবস্থায় রাজ্য কি এই সংক্রমণ বন্ধে বিদ্যালয়ে ছুটির ঘোষণা করতে পারে? কি বলছে নবান্ন? বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

West Bengal রাজ্যে ডেঙ্গি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন নবান্ন।

কিছুদিন আগেই West Bengal তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গি দমনে স্কুলে স্কুলে সতর্কতা বাড়াতে নেওয়া হয়েছিল বিশেষ কর্মসূচী। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, কোথাও পরিষ্কার জল জমে না থাকার বিষয়ে সতর্কতা মূলক কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল। তবে কিছু কিছু অসচেতন মানুষদের জন্যই ভুগতে হয় গোটা সমাজকে।

বর্তমানে 50 হাজার ছাড়িয়েছে West Bengal তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আর তাও মাত্র বিগত 10 মাসে। গত 10 বছরের ইতিহাসে এই পরিসংখ্যান আসে নি সামনে। সংক্রমণের হারে রাজ্যের 1 নম্বরে আছে কোলকাতা জেলা। পরপর আছে অন্যান্য রাজ্যগুলিও।

সম্প্রতি এই রোগে প্রয়াত হলেন West Bengal রাজ্যের কোলকাতা বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের সহকারী সুপার। তার নাম অনির্বান হাজরা। বয়স মাত্র 42 বছর। এছাড়া কোলকাতা পুলিশের এএসআই উৎপল নষ্কর, এই একই কারণে প্রয়াত। তার বয়স মাত্র 48 বছর।

West Bengal রাজ্যে সম্প্রতি নবান্নে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে বৈঠক সারা হয়। এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বিশেষ আলোচনা হয়। এই প্রবল সংক্রমণ থেকে রাজ্যবাসীকে বাঁচাতে কি পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য? সেটাই এখন দেখার।

খুব দ্রুত সংক্রমণ হচ্ছে এবারে West Bengal – রাজ্যে। সংক্রমণের হার 12.5% এর বেশি। কিন্তু এর কারণ কি? সম্প্রতি কোলকাতার মাননীয় মেয়র এই বিষয়ে বেশ তৎপর হয়ে নজরদারি চালানো শুরু করেছেন। এই ঘটনায় উদ্বেগের প্রকাশ ঘটেছে।

কোলকাতাতে সংক্রমণ হার 24.8%, জলপাইগুড়িতে 24.5%, হুগলিতে 20.8%, কালিম্পং জেলায় এই হার 19.5% তে পৌঁছেছে। রাজ্যে সপ্তাহে আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় 5000 এর বেশি। আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে বর্তমান পরিস্থিতি।

উত্তর 24 পরগনা জেলায় সব থেকে বেশি আক্রান্ত। এরপর আছে পরপর মুর্শিদাবাদ এবং কোলকাতা। এছাড়াও মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, বসিরহাট, পূর্ব মেদিনীপুর, আলিপুরদুয়ার, ডায়মন্ড হারবার বাদ যাচ্ছে না। সব জায়গায় পরিস্থিতি ভয়ানকের দিকেই এগোচ্ছে।

হঠাৎ করেই জ্বর। ডাক্তারবাবু টেস্ট করাতে দিলেই ডেঙ্গি পজেটিভ। প্লেটলেট কাউন্ট কমে যাচ্ছে দ্রুত। আর হঠাৎ করে এই হার কমে গেলেই জীবন সংশয়। শহরঞ্চলে এই প্রকোপ বেশি।

এডিস মশাই এর কারণ। বর্ষার জমা জলেই এদের বংশ বিস্তার হয়। এডিস ইজিপ্টাই মশা শহরে বেশি। শহরে আবার জনগণত্বও অনেক বেশি। তাই ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে বেশ দ্রুত হারে। সব মিলিয়েই এর প্রভাব বাড়ছেই।

ভোটার লিস্ট 2023 – থেকে কাটা গেলো অনেক নাম। আপনার নাম আছে কিনা, কিভাবে জানবেন?

এইসবের পাশাপাশি বিভিন্ন মহলে ধারণা করা হচ্ছে, এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে বন্ধ হতে পারে স্কুলগুলি। যদিও এই নিয়ে তেমন কোন উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি ওপর মহলে। কারণ এই সিদ্ধান্ত একেবারে প্রাথমিক স্তরে আছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকলকে একযোগে কাজ করতে আহবান জানানো হয়েছে।

স্কুলে মোবাইল রুখতে ও পড়ুয়াদের মোবাইলের নেশা কাটিয়ে বইমুখী করতে শিক্ষকদের জরুরী নির্দেশ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে স্কুল বন্ধের বন্ধে হাঁটতে পারে রাজ্য। তবে সামনেই স্কুলে স্কুলে টেস্ট পরীক্ষা ছাড়াও আছে প্রত্যেক ক্লাসের ফাইনাল পরীক্ষা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সব কিছু কিভাবে সামাল দেয়, সেদিকে নজর থাকবে সকলের। ধন্যবাদ।
Written by Mukta Barai.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button