রাজ্য সরকারি কর্মীদের জরুরী নির্দেশ নবান্নের, না মানলে চাকরির সুরক্ষা নিয়ে টানাটানি।
ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে সরকারি কর্মীদের মধ্যে।
সরকারি নির্দেশ না মানলেই বিপদ। আধুনিকতার ছোঁয়া এখন সারা বিশ্বে। এর প্রভাব পড়ছে স্কুল দপ্তর থেকে সরকারি কর্মী মহলে। আগে থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের পড়ুয়াদের মহামারীকালে মোবাইল দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।
তবে এবারে নজর সরকারি কর্মীদের ওপরে। কয়েকদিন আগেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের আইফোন কিনতে হবে। সম্প্রতি নবান্ন থেকেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই তালিকায় সরকারি আধিকারিকদেরই এই নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে রাজ্য সরকার এমন নির্দেশ কেন দিলেন?
এর মুল কারণ হলো সুরক্ষা। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের তুলনায় আইফোন অনেক বেশি সুরক্ষিত এবং নিরাপদ। সুরক্ষা ব্যবস্থা ভালো না হলে গোপনীয় অনেক তথ্যই বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। সরকারি কাজ চালাতে আমলা, মন্ত্রী, কর্মীদের মধ্যে মোবাইলের মাধ্যমে নানা আলাপচারিতা, অফিসের কাজকর্ম হয়। সেক্ষেত্রে মোবাইলের সুরক্ষার বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্রণ।
তাই এই সকল তথ্যগুলিকে আরো সুরক্ষিত রাখার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের বদলে সরকারি আমলা এবং আধিকারিকদের আইফোন ব্যববার বাধ্যতা মূলক করা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। কারণ আইফোনে অবৈধ ভাবে কারো পক্ষে লুকিয়ে গোপন তথ্য জেনে নেওয়ার বিষয়টি বেশ কষ্টসাধ্য বলে জানানো হয়েছে।
গ্রাহকদের বিপদে ফেলে সমস্ত জনপ্রিয় প্ল্যান বন্ধ করে দিল জিও, নতুন রিচার্জ প্ল্যানের তালিকা দেখুন।
গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে ‘পেগাগাস’ বিষয়টি আগেই সামনে এসেছিল। তবে এ রাজ্যের ক্ষেত্রে এই নিয়ম একচুল পরিবর্তন হবেনা বলে সরকারি ভাবে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে আশঙ্কার মেঘ জমতে শুরু করেছে। তারা কিভাবে এবারে এতো দামী মোবাইল কিনবেন, তা নিয়ে বেশ জল্পনা শুরু হয়েছে কর্মী মহলে। কারন একটি আইফোনের দাম তাদের কয়েক মাসের মাইনের সমান!
এ বিষয়ে সরকারি কর্মচারীদের একাংশের বক্তব্য, এমনিতেই গত কয়েক বছর সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধির বিষয়ে উদাসীন রাজ্য সরকার। ওদিকে আবার বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি। সাধারণের সংসার চালাতে বেশ চাপ নিতে হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত বদল করে কি না সেটাই এখন দেখার। তবে আপাতত আইফোন কেনার টাকা জোগাড় করতে হবে রাজ্য সরকারের আমলা থেকে শুরু করে আধিকারিকদের।
সবথেকে লাভজনক 5টি সরকারি সঞ্চয় প্রকল্প, একবার বিনিয়োগে ঝড়ের গতিতে বাড়বে টাকা।
তবে এক্ষেত্রে সরকারের তরফে কোন ভর্তুকি দেওয়া হয় কিনা সেটাই দেখার। আর এই বিষয়ে কোন নির্দেশিকা এলে তা সত্ত্বর আপনাদের সামনে নিয়ে আসবো আমরা। পরবর্তী প্রতিবেদনগুলি জানতে অবশ্যই নজরে রাখুন আমাদের ওয়েবসাইট। ধন্যবাদ।
Written by Debolina Barai.